Online Scams: এই তিন অস্ত্রে গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে প্রতারকরা, উধাও হয় টাকা
শুধু লোভ নয়, এই তিন কারণে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে যাই আমরা। পরবর্তীকালে যার ফল ভুগতে হয় আমাদের। সহজেই আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়ে যায় জালিয়াতরা। সেই ক্ষেত্রে নিমেষেই লক্ষ-লক্ষ টাকা উঠাও হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে কিছু বিষয় স্মরণে রাখতে আপনাকে বাগে পাবে না স্ক্যামাররা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজে পাওয়া অর্থের প্রতিশ্রুতি সব সময় লোভনীয় হয়। এই বিষয়ে অবশ্যই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অজানা নম্বর থেকে টেক্সট ও কলগুলিতে সাড়া দেবেন না। যারা সামান্য কাজের বিনিময়ে অর্থের প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের ফাঁদে পা দেবেন না।
সম্প্রতি সাইবার অপরাধীদের থেকে বাঁচতে একটি বই লিখেছেন প্রাক্তন DRDO বিজ্ঞানী ওপি মনোচা । এবিপি লাইভকে তিনি জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধীরা মানুষের আবেগকে হাতিয়ার করে। আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কীভাবে তাদের মোকাবিলা করতে হয়। 'সাইবার এনসকাউন্টারস' নামের এই বইটির সহ-লেখকের মতে, তিন কারণে ব্যবহারকারীরা সাইবার অপরাধীদের শিকার হয় - লোভ, কৌতূহল ও ভয়।
সহজে অর্থের প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে লোভ ফাঁদে পড়ার একটি অন্যতম বিষয়। এ ছাড়াও কৌতূহল কার্ডটি সাইবার অপরাধীরা ব্যবহার করে ক্ষতিকারক লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার জন্য প্রলুব্ধ করতে থাকে। কেবল এর অপর প্রান্তে কী রয়েছে তা দেকার জন্য আপনি এই লিঙ্কে ক্লিক করেন ও ফাঁদে পড়েন। সবশেষে, ভয়-কে হাতিয়ার করে গ্রাহকদের ঠকানো প্রতারকদের পুরনো পন্থা।
অনেক সময় প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের ভুল ঠিক করার জন্য কিছু করতে বলেন। “আপনি জামতারায় একটি গাছে বসে থাকা কারও কাছ থেকে একটি কল পেতে পারেন, আপনাকে কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে বলবেন তিনি।
এই ক্ষেত্রে আপনাকে কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার ভয় দেখাবে ওই ব্যক্তি। একবার ভয়ে আপনি ওই লিঙ্কে ক্লিক বা অপর প্রান্তের নির্দেশ মতো কাজ করলেই উধাও হবে অ্যাকাউন্টের টাকা।
সাইবার অপরাধীদের থেকে বাঁচতে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি ও 'সাইবার এনকাউন্টার'-এর সহ-লেখক অশোক কুমারের মতে, ব্যবহারকারীদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
মনে রাখতে হবে, যেকেউ রাতারাতি ধনী হতে পারেন না। ধনী হতে গেলে সময় ও চেষ্টা লাগে। কোনও জিনিস বিনামূল্যে আসে না। অজানা অপরিচিতিদের কাছ থেকে এই ধরনের অর্থ উপার্জনের প্রস্তাব পেলে তা প্রত্যাখ্যান করুন।
এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তাহলে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এছাড়াও আপনি 1930 ডায়াল করতে পারেন — ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের হটলাইন নম্বরে আপনার সমস্যার বিষয়ে বিশদে বলতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -