সাড়ে ৪০০ বছর আগে রঘু ডাকাতের হাতে শুরু হয়েছিল বাঁকুড়ার ‘বিপ্লবী’ বাড়ির কালীপুজো
বাঁকুড়ার বড় কালীতলা মন্দির ও ‘বিপ্লবী’ বাড়ির কালীপুজো শুরু হয়েছিল রঘু ডাকাতের হাত ধরে প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই মন্দিরের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের সন্ধান মেলে। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গীতাপাঠ,শক্তি সাধনা আর বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষা নেওয়ার কাজও হত বলে শোনা যায়।
এই মন্দিরে বংশানুক্রমে পুজো করে আসছেন শহরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরাই।
বর্তমান পুরোহিত ভৈরবনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘বড় কালী ইতিহাস বলতে তান্ত্রিক মতে পুজো আরম্ভ হয়। আমার পিতামহর মুখে শুনে আসছি রঘু ডাকাত এই পুজোটি শুরু করে। তার পর আমাদের বংশ পরম্পরা পুজো করে আসছি।'
আলিপুর বোমা মামলায় দণ্ডিত ও সাজাপ্রাপ্ত অধিকাংশ বিপ্লবীই কালীতলার কালীমন্দিরে কালী মূর্তির সামনে, গীতা পাঠ মন্ত্র পাঠ বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষা নিতেন ও শক্তি সঞ্চয়ের জন্য শক্তি সাধনা করতেন।
এই বড় কালীতলা মন্দিরের সন্নিকটস্থ এলাকায় রয়েছে ভাঙাচোরা একটি বাড়ি, যা এলাকার মানুষের কাছে 'বিপ্লবী' বাড়ি নামেই পরিচিত।
শহরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কালীতলা গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন এই প্রাচীন বাড়িতে বিপ্লবীদের আস্তানা ছিল।
তৎকালীন সময়ে অনুশীলন সমিতির গোপন আস্তানা হিসেবেও এই বাড়ি ব্যবহৃত হত।
সেই সূত্রেই বাংলার অনুশীলন সমিতির বহু বিপ্লবীর আনাগোনা ছিল এই বাড়িতে। বিপ্লবীরা বৃটিশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে দিনের পর দিন এই বাড়িটিতে থাকতেন।
বাড়ির ভিতরেই রয়েছে একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে রাখা থাকত বিপ্লবীদের আগ্নেয়াস্ত্র।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -