Durga Puja 2021 Exclusive: ' ১৮ টি ভাগে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে' ছবিতে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের পুজো
কলকাতার শিকড়ের ইতিহাস ঘাঁটলে অবশ্যই চলে আসে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের নাম। বাংলার একটি অভিজাত জমিদার পরিবার। এঁরাই ছিল কলকাতার জায়গীরদার। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর সুতানুটি, কলিকাতা ও গোবিন্দপুর গ্রাম তিনটির প্রজাসত্ত্ব সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইজারা নেয়। এই পরিবারের দুর্গাপুজো আজও প্রসিদ্ধ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅষ্টাদশ শতাব্দীতে ওই পরিবারেরই বংশধর কালীকিঙ্কর এক ভবন নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে কালীকিঙ্কর ভবন নামেই পরিচিত। এই সুবিস্তৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানালেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ৩৪ তম বংশধরের স্ত্রী, ওই পরিবারের পুত্রবধূ পত্রলেখা রায়চৌধুরী।
সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির পুজো মোট ৮টি বাড়িতে হয়। তার মধ্যে আছে, আটচালা বাড়ি, বড় বাড়ি, বেনাকি বাড়ি , মেজো বাড়ির পুজো, কালীকিঙ্কর ভবনের পুজো, মাঝের বাড়ি পুজো। এছাড়াও বিরাটি বাড়ি ও নিমতা বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। বিদ্যাপতি রচিত দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী রীতি-নিয়ম মেনে এখানে পূজিত হন দশপ্রহরধারিণী।
সপ্তমী থেকে দশমী ১৮ টি ভাগে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে। মুখে কাপড় বেঁধে রান্না করতে হয় ভোগ।
পরিবারের সন্ধিপুজোর একটি বিশেষত্ব রয়েছে। সদ্যস্নাতা পরিবারের সদস্যা ভিজে গায়ে, ভিজ কাপড়ে ভোগ রান্না করেন। মায়ের ভোগে থাকে ল্যাটা বা শোল মাছ।
এই পুজোর বিসর্জন প্রতিষ্ঠিত পুকুরেই হয়ে থাকে। পুজোর শেষে বাড়িতে তৈরি বোঁদে দিয়েই হয় দশমী পালন।
পুজো হয় এক চালচিত্রে। তবে একই চালচিত্রের মধ্যে থাকে তিন ভাগ।
দিন গড়িয়েছে, বছর গড়িয়েছে, সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ঐতিহ্যময় অতীত এখন লোকের মুখে মুখে ফেরে। এত বছর পার করেও বাড়ির পুজোর আত্মাটি রয়ে গেছে পুরাতনই।
নতুন সদস্যরা আসেন পরিবারে। কিন্তু বাড়ির রীতি মেনেই পুজোয় যুক্ত হন তাঁরা । আধুনিকতার রং তাতে এখনও লাগেনি।
ছবি - পৃথা রায়চৌধুরী (পরিবারের সদস্যা)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -