Durga Puja 2021 Exclusive: সপ্তমী থেকে দশমী নানারকম মাছের পদ মা-কে নিবেদন করে চোরবাগানের চট্টোপাধ্যায় পরিবার
উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছে রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সুবিশাল বাড়ি। কথিত আছে, রামচন্দ্র স্ত্রী দুর্গাদাসীর পরামর্শে বাড়ির ঠাকুরদালানে ১৮৬০ সালে প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৬০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই পরিবারের পুজোর। পরিবারের অন্যতম প্রবীণ সদস্য অর্ধেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানালেন,এই বাড়িতে কাঠামোপুজো অনুষ্ঠিত হয় জন্মাষ্টমী তিথিতে। একটি গরান গাছের ডাল দিয়ে পুজো করা হয় কাঠামো। সেই ডাল প্রতিমার সঙ্গেই নিরঞ্জন হয়।
সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নান করানো হয় বাড়িতেই। পুজোর সব জোগাড় করেন বাড়ির মেয়েরাই। তবে ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকেন বাড়ির ছেলেরা।
মহাষষ্ঠীর রাতে বাড়ির বউরা মা-কে বরণ করেন, তাকে বলে বেলবরণ প্রথা। বৃহন্নান্দীকেশ্বর মতে পুজো হয় এই বাড়িতে। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী। পুজোর রীতি অবশ্য প্রতিবছর একই।
এক সময় এ বাড়িতে পশুবলির রীতি ছিল । পরে পশুবলি উঠে যায়। মায়ের ভোগে নানারকম উপকরণের পাশাপাশি রোজই থাকে মাছ, আমিষ ভোগ। প্রায় প্রতিটি পুজোর মতোই খিচুড়ি , ভাত, পাঁচ ভাজা তো থাকেই সেই সঙ্গে থাকে নানাবিধ চাটনি ও মিষ্টির উপকরণ। সপ্তমী থেকে দশমী নানারকম মাছের পদ মা-কে নিবেদন করা হয়।
সন্ধিপুজোর সময় ১০৮ টি প্রদীপ সাজানোর রীতি রয়েছে এই বাড়িতেও। প্রদীপের প্রস্তুতিতে বাড়ির কন্যা হৃষিতা চট্টোপাধ্যায়।
এই পরিবারের ব্যতিক্রমী রীতি হল, দশমীর দিন দেবীর দুর্গাকে বাসি-ভোগ দেওয়া। বলা যেতে পারে দেবীর অরন্ধন। ইলিশের অম্বল এই ভোগের সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে। নবমীর রাতে রান্না করা ভোগ পরদিন সকালে দেবীকে উত্সর্গ করা হয়। এই বাড়ির ভোগের মধ্যে চিংড়ির মালাইকারি সহ নানারকম মাছ সাজিয়ে দেওয়ার রীতি আছে।
এখনও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের নতুন ও পুরনো প্রজন্মের মানুষরা মিলেমিশে পুজো সামলান। এই বাড়িতে পুজোর কয়েকদিন কেউ বাইরে ঠাকুর দেখতে যায় না।
মা দুর্গার হোমের ছবি।
এই বাড়িতে কানন দেবীর মতো মানুষ এসেছেন যাত্রা দেখতে। বসত শাস্ত্রীয় গানের আসর। আসতেন তাবড় তাবড় শিল্পীরা। এখন এত কিছু না হলেও, পুজোর কয়েকটা দিন চেহারা বদলে যায় বাড়িটার। ছবি দিয়েছেন হৃষিতা চট্টোপাধ্যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -