Durga Puja 2022 বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের পুজোর গল্প মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো
কলকাতার ইতিহাসের শিকড়ে এই পরিবারের অবস্থান। আর কলকাতার দুর্গাপুজোর ইতিহাস ঘাঁটলেও একেবারে প্রথম পর্বেই উঠে আসবে এই পরিবারের নাম।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজোই কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গাপুজো হিসেবে মানেন অনেকে।
সাবর্ণ রায় চৌধুরী বাড়ির পুজো মোট ৮টি বাড়িতে হয়। তার মধ্যে আছে, আটচালা বাড়ি, বড় বাড়ি, বেনাকি বাড়ি , মেজো বাড়ির পুজো, কালীকিঙ্কর ভবনের পুজো, মাঝের বাড়ি পুজো। এছাড়াও বিরাটি বাড়ি ও নিমতা বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে।
বিদ্যাপতি রচিত দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী রীতি-নিয়ম মেনে এখানে পূজিত হন দশপ্রহরধারিণী। পুজো হয় এক চালচিত্রে।
একই চালচিত্রের মধ্যে থাকে তিন ভাগ। মাঝে থাকেন সপরিবার মা দুর্গা। দুই পাশে থাকেন মহাদেব ও রামচন্দ্র। এটাই সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা গড়ার রীতি।
সুপ্রাচীন কাঠামোতেই নতুন করে মৃন্ময়ী মূর্তি গড়া হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামো তুলে নেওয়া হয় জল থেকে।
সন্ধিপুজোর একটি বিশেষত্ব রয়েছে। সদ্যস্নাতা পরিবারের সদস্যা ভিজে গায়ে, ভিজ কাপড়ে ভোগ রান্না করেন। মায়ের ভোগে থাকে ল্যাটা বা শোল মাছ। মাছ পুড়িয়ে মাখন মিশিয়ে নিবেদন করা হয় দেবীমূর্তির সামনে।
সপ্তমী থেকে দশমী ১৮ টি ভাগে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে। মুখে কাপড় বেঁধে রান্না করতে হয় ভোগ। এই পুজোর বিসর্জন প্রতিষ্ঠিত পুকুরেই হয়ে থাকে।
পুজোর শেষে বাড়িতে তৈরি বোঁদে দিয়েই হয় দশমী পালন। দিন গড়িয়েছে, বছর গড়িয়েছে, সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ঐতিহ্যময় অতীত এখন লোকের মুখে মুখে ফেরে।
এই হল এবারের দুর্গাপ্রতিমা গড়ার ছবি। সপ্তমীতে বিধি মেনে নবপত্রিকা স্নানের পর শুরু পুজো। ছবি : পৃথা রায়চৌধুরী
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -