East Burdwan: পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি জীবনবোধের পাঠ দেওয়াই 'সদাই ফকিরের পাঠশালা'র লক্ষ্য, 'গুরুদক্ষিণা' মাত্র দু-টাকা
সুজিত চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রামনগরের বাসিন্দা। মাত্র দু-টাকা গুরুদক্ষিণা নিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষাদান করে চলেছেন তিনি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রামনগরেই রয়েছে তাঁর ‘সদাই ফকিরের পাঠশালা’। প্রায় ৩০০ পড়ুয়া পড়াশোনা করে এই পাঠশালায়। পড়ুয়া পিছু ‘গুরুদক্ষিণা’ হিসেবে বছরে মাত্র ২ টাকা নেন মাস্টারমশাই। সঙ্গে চারটি চকোলেট।
২০২১ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন তিনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।
বাংলায় স্নাতকোত্তর প্রায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ মাস্টারমশাই গ্রামের আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে চলেছেন নামমাত্র দক্ষিণায়।
তাঁর মূলমন্ত্র জীবনের সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের একাত্ম করে তোলা। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি জীবনবোধের পাঠ দেওয়াও তাঁর শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য।
রামনগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ৪০ বছর স্কুলে পড়ানোর পর অবসর নেন তিনি।
এরপরেই শুরু হয় তাঁর পাঠশালা। গত ১৮ বছর ধরে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের গরিব-দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের পড়ান তিনি।
নবম, দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস পড়ান তিনি। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পড়ান বাংলা।
এরপর ১ টাকা থেকে বেড়ে ২ টাকা হয়েছে মাস্টারমশাই-এর গুরুদক্ষিণা। নিজের পেনশনের একটা অংশ খরচ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতাও কিনে দিয়েছেন তিনি।
তবে এই যাত্রাপথে ছাত্র-ছাত্রীরাও সঙ্গ দিয়েছে তাঁকে।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য সামান্য পরিমাণ কিছু অর্থ মাস্টারমশাই-এর হাতে তুলে দেয় তারা। যা দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সাহায্য করেন তিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -