Hooghly: মাহেশে সূচনা হল রথযাত্রা উত্সবের, শুভ দিনে হালখাতা ব্যবসায়ীদের
অক্ষয় তৃতীয়ায় হুগলির মাহেশে সূচনা হল রথযাত্রার। আজ হল চন্দন যাত্রা। এই উপলক্ষে সকাল থেকে মন্দিরে উপচে পড়া ভিড় ছিল ভক্তদের। এদিনই হালখাতা করেন ব্যবসায়ীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরবিবার অক্ষয় তৃতীয়া। এদিনই হুগলির মাহেশে সূচনা হল রথযাত্রা উত্সবের। বিশেষ এই দিনে শুরু হল চন্দনযাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দন যাত্রা উত্সব।
প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে। কারণ, প্রখর রোদের তাপে জগন্নাথদেবের মাথা ধরেছিল। সেই কারণে বিগ্রহে চন্দন লেপে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার।
২১ দিন ধরে চলবে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লাগানো। স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে।
স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসবে। তখন বন্ধ থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ভক্তরা দেখা পাবেন না জগন্নাথের। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবেন জগন্নাথদেব। কবিরাজের পাচন খেয়ে জ্বর সারলে মন্দিরের দরজা খুলবে।
রথে চেপে বলরাম শুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান জগনন্নাথ। সেই দিনই রথযাত্রা। এ বছর রথযাত্রা ২০ জুন।
পুরীতে এদিন থেকে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথ তৈরির কাজ। আর হুগলির মাহেশে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার। এই উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় ছিল মন্দিরে। এদিনই হালখাতা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
৬২৭ বছর ধরে কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে। কোনও ক্ষয় নেই। এটাই মাহেশের জগন্নাথের মাহাত্ম্য।
৪২ দিন পর হবে স্নান যাত্রা উৎসব। ঘড়া ঘড়া গঙ্গা জল আর দেড় মন দুধ দিয়ে স্নান করানো হবে জগন্নাথ দেবকে। তার ১৫ দিন পর দরজা খুলবে মন্দিরের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -