Mahesh Rath Yatra: ধুম জ্বর জগন্নাথের, মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ হওয়ার আগে দর্শনার্থীর ভিড় মাহেশে
হুগলির (Hooghly) মাহেশে (Mahesh) অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya) উপলক্ষে সূচনা হল মাহেশের রথযাত্রার (Rath Yatra)।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজ চন্দন যাত্রার সূচনা হয়। মন্দির চত্বরে সেই চন্দনযাত্রা দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় ছিল ভক্তদের। আগামী ১ জুলাই মাহেশে রথযাত্রা উত্সব।
গত দু’বছর বন্ধ ছিল হুগলির মাহেশের রথযাত্রা। এবার সেই মাহেশে মহা ধুমধাম। কারণ, এ বছর রথযাত্রা হবে।
অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সেই মাহেশেই মঙ্গলবার সূচনা হল রথযাত্রা উত্সবের। এই দিনটিতেই শুরু হল চন্দন যাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দন যাত্রা উত্সব।
এ নিয়ে প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রচন্দ্রকে মহাপ্রভু জগন্নাথদেব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সর্বাঙ্গে চন্দন লেপন করতে। কারণ, প্রখর তাপে জগন্নাথদেবের মাথা ধরেছিল। সেই কারণে বিগ্রহে চন্দন লেপন করে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার।
স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসবে। তখন বন্ধ থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবেন জগন্নাথদেব।
জ্বর থেকে সেরে উঠে রথে চেপে জগন্নাথদেব মাসির বাড়ি যাবেন। সেই দিনই রথযাত্রা।
পুরীর পর অন্যতম আকর্ষণীয় প্রাচীন রথ হুগলীর মাহেশের রথ । সেই মাহেশকে চৈতন্যদেব আখ্যা দেন 'নব নীলাচল'। কথিত চতুর্দশ শতাব্দীতে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক ব্যক্তি পুরীতে তীর্থ করতে যান।
ইচ্ছে ছিল জগন্নাথদেবকে ভোগ খাওয়ানোর। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ বাঁধা দেওয়ায় দুঃখে ধ্রুবানন্দ অনশন করে নিজের জীবন শেষ করবেন বলে ঠিক করেন।
অনশনের তৃতীয় দিনে হুগলি নদীর ধারে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করার স্বপ্নাদেশ পান। দৈবাদেশ পেয়ে ধ্রুবানন্দ আসেন মাহেশে। তৈরি হল মাহেশে জগন্নাথ মন্দির।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -