Army Flood Relief Ops জলবন্দি হাওড়া ও হুগলিতে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য সেনার
রাজ্য সরকারের অনুরোধে প্লাবিত ২ জেলা -- হাওড়া ও হুগলিতে সেনার ৫ কলাম মোতায়েন করা হয়েছে। এক-একটি কলামে রয়েছে প্রায় ৫০ জন জওয়ান। ছবি সৌজন্য - প্রতিরক্ষামন্ত্রক
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএদিন সেনার তরফে জানানো হয়, গত ১ তারিখ থেকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং হুগলির পুরশুরা, আরামবাগ ও খানাকুলে মোতায়েন রয়েছে এই কলাম। সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ-- দুই কাজই সমানতালে করছে সেনা।
ভেঙেছে বাঁধ। ঘর-সংসার গিলে খেয়েছে জল। উঠোনে পড়ে কাদা-মাটি মাখা টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য জিনিস। গত সপ্তাহে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। দু’কূল ছাপিয়ে গেছে দ্বারকেশ্বর।
যে জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হুগলির আরামবাগের। বেশকিছু জায়গা থেকে জল নামলেও এখনও নিস্তার পাননি পল্লিশ্রী ও মনসাতলা-সহ বহু এলাকার বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঁধ ভাঙা জলে ভেসে গেছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি বাড়ি। অন্যদিকে ডিভিসি-র ছাড়া জলে এখনও ভাসছে খানাকুলের ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বহু গ্রাম।
বন্ধ বাজার হাট। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। সেখানেও জল ঢুকে পড়ায় ঠাঁই নিতে হয়েছে ত্রাণ শিবিরের ছাদে।
নতুন করে আর সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। তা সত্ত্বেও বদলাচ্ছে না হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরের জল যন্ত্রণার ছবিটা। জলের তলায় উদয়নারায়ণপুরের শতাধিক ও আমতার ৩০টি গ্রাম।
কৃষিজমি, রাস্তা থেকে বসতবাড়ি সর্বত্র জল থইথই। প্রশাসন সূত্রে খবর, উদয়নারায়ণপুরের ৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লের তলায় আমতার ৩ হাজার হেক্টর কৃষিজমি।
ক্ষতি হয়েছে সব্জি, তিল ও বাদাম চাষেও। ব্যপক ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষে। উদয়নারায়ণপুরে প্রায় ১০০টি ও আমতায় ৩০টি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাড়ি-ঘর থেকে পানীয় জলের নলকূপ। সবকিছুই জলের তলায়। ডিভিসি-র ছাড়া জলে বিপর্যস্ত আমতার মানুষ। বাঁধ রক্ষার অসম লড়াই চলছে জল ও মানুষের মধ্যে। বালির বস্তা ফেলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -