মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আলু এড়িয়ে চলছেন? পুষ্টিতে ঘাটতি হচ্ছে না তো?

অনেকেরই বিভিন্ন কারণে আলু খাওয়ায় নিষেধ থাকতে পারে। তবে এর পুষ্টিগুণও প্রচুর। আলু হাড়ের জন্য উপকারী, আলুতে রয়েছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আলুতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ভিটামিন আর্থ্রাইটিস রোগীদের উপশম দেয়।

এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ফাইবারের কারণে এটি বদহজমেরও চিকিৎসা করতে পারে।

ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্সের পাশাপাশি আলুতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের জন্য ভাল।

সেদ্ধ আলুতে প্রধানত কার্বোহাইড্রেট থাকে, যে কারণে এটি হজম শক্তি বাড়ায়।

যাঁরা কম ওজনে সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আলু খুবই উপকারী। কারণ আলুর কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

মুখের আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি খুব ভাল খাদ্য, যারা আর্থ্রাইটিস এবং গাউটে ভুগছেন তারা আলু খেতে পারেন।

আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং খনিজ উপাদান অন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের প্রদাহ কমায়।

বিশেষ করে লাল এবং বাদামী আলুতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।

আলু খুব হালকা এবং খুব সহজে হজম হয়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের আলু খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ রয়েছে তাই অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে।

চুলের অকালপক্কতা, চুল পড়া রোধ করতে, আলু একটি ভাল সমাধান। এ জলে খোসা ছাড়ানো আলু সিদ্ধ করার পর সেই জল দিয়েচুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুল ভাল রাখবে।