Durga Puja 2021: মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পেয়েছিলেন রাজা, আজও রাজকীয় সমারোহে পুজিত হন মল্লরাজ পরিবারের মৃন্ময়ী
মন্দিরের গায়ে লেখা, পুজোর প্রতিষ্ঠাকাল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ। সেই অনুযায়ী, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের দুর্গাপুজো প্রায় হাজার বছরের পুরনো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকথিত আছে, কোনও এক দৈব ঘটনার মধ্যে দিয়ে এখানে শুরু হয়েছিল মৃন্ময়ীর আরাধনা। বিশাল জাঁকজমক, রাজকীয় সমারোহে পুজোর আয়োজন হত।
কিন্তু, এখন সেই রাজাও নেই। আর রাজ্যপাটও নেই। নেই সেই জৌলুষ। তবে, রয়ে গিয়েছে কিছু নিয়মের রেশ।
বাঁকুড়ার মল্লরাজ পরিবারের সদস্য দেবপ্রসাদ সিংহ ঠাকুর,মল্ল রাজত্বের তৎকালীন রাজধানী প্রদ্যুম্নপুর থেকে শিকারে বেরিয়ে, বাঁকুড়ার বন বিষ্ণুপুরে আসেন রাজা জগৎমল্ল।
কথিত আছে, আজ যেখানে দেবীমূর্তির অবস্থান, সেখানেই একটি বটগাছের নিচে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মহারাজ। তখনই স্বপ্নে দেখা দেন মৃন্ময়ী। মন্দির প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন। এরপর রাজা জগৎমল্লর উদ্যোগেই তৈরি হয় মৃন্ময়ীর মন্দির।
রাজা জগৎমল্লর উদ্যোগেই বিষ্ণুপুরে তৈরি হয় মৃন্ময়ীর মন্দির। ধীরে ধীরে প্রদ্যুম্নপুর থেকে মল্ল রাজাদের রাজধানী সরে আসে বন বিষ্ণুপুরে। মৃন্ময়ী মন্দিরের অদূরেই তৈরি হয় রাজ প্রাসাদ। কূলদেবী হিসেবে মৃন্মময়ীর পুজার্চনা শুরু করে মল্লরাজ পরিবার।
মল্লরাজ পরিবারের কূল পুরোহিত তরুণ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষ্ণ নবমী তিথিতে পুজো হয়। আদ্যা পুজো শুরু হয়। কিন্তু আজ থেকে ১০২৪ বছর আগে যে বলী নারায়নী পুঁথি অনুযায়ী শুরু হয়েছিল মৃন্ময়ীর পুজো আজো সেই নিয়ম রয়েছে অব্যাহত।
এখানে বড় ঠাকুরানি রূপে পূজিতা হন মহাকালী। মেজো ঠাকুরানি রূপে মহালক্ষ্মী ও ছোট ঠাকুরানি রূপে দেবী মহাস্বরস্বতী। গোপালসায়রের দিঘিতে বড় ঠাকুরানির স্নান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্জে ওঠে কামান।
সহস্র বছরের নিয়ম মেনে, আজও ন’বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর। গঙ্গামাটিতে তৈরি এই মূর্তির বিসর্জন হয় না। স্বপ্নাদেশ পেলে অঙ্গরাগ বা রং করা হয়।
বর্তমানে আড়ম্বরে কিছুটা ভাটা পড়লেও, বিষ্ণুপুরবাসীর কাছে মল্ল রাজবাড়ির এই পুজোর আগ্রহ আগের মতোই। (সব ছবি ও তথ্য তুহিন অধিকারী)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -