Poila Baisakh : নববর্ষের প্রাক্কালে হালখাতা তৈরির আঁতুড়ঘরে এবিপি লাইভ
হালখাতা৷ নববর্ষের প্রথম দিন লক্ষ্মী-গণেশের পুজো দিয়ে খোলা হয় সারাবছরের বিকিকিনির হিসেবের নতুন খাতা৷ সেই খাতা তৈরির আঁতুড় ঘরে ঢুঁ মারলেন এবিপি লাইভের প্রতিনিধি অভিষেক দে
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রথা৷ কিন্তু আধুনিকতার প্রভাব পড়েছে এই লাল রঙের মলাট দেওয়া খাতাতেও৷
কম্পিউটারের যুগে এখন খাতায় নয়, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই এখন হিসেব-নিকেশ গচ্ছিত রাখছেন হার্ডডিস্কে৷ তাই বিক্রি কমেছে হালখাতার৷
তবে, এতদিনের প্রথা বলে কথা৷ তাই আধুনিকতার প্রভাব পড়লেও নতুন বছরের নতুন খাতা কিনতে বাজারমুখী কেউ কেউ৷
বাঙালির বহু সংস্কৃতিই আধুনিকতার ছোঁয়ায় একে একে হারিয়ে যেতে বসেছে৷ তাহলে কি সেই পথে হালখাতাও?
বিচিত্রা স্টোরের মোহাম্মদ ফারুক জানালেন, কোভিডে আমাদের গত দুই বছরে ব্যবসা প্রায় শূন্যের হয়ে গিয়েছিল। আগে খেরোর খাতা হট কেকের মতো বিক্রি হত কিন্তু আজ তার 10 শতাংশও পরিমাণ বিক্রি হয় না” ।
বিচিত্রা পেপারওয়ার্কসের ইমরান বলেন, গত কয়েক বছরে হাল খাতার বিক্রি কমে যাচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারী ব্যবসা প্রায় শেষ করে দিয়েছে'' । ইমরান আরও বলেন, কোভিড প্রায় শেষ করে ফেলেছে যারা কাগজের পণ্যে লেনদেন করে। তাছাড়া, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে, বাজার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে
এশিয়ার বৃহত্তম বইয়ের বাজার কলেজ স্ট্রিট এবার গত ২ বছরের তুলনায় জমজমাট হলেও, হালখাতার চাহিদার বেহাল দশা চোখে পড়ছে। তাই হয়ত এবার খুবই কম দোকানে পাওয়া যাচ্ছ হাতে সেলাই করা খেরোর খাতা। কেউ দড়িতে বাঁধা খাতা বিক্রি করছেন।
কেউ কেউ খননের কাজ করছে। কেউ ১০০ দিনের কাজে নাম লিখিয়েছে, আবার কেউ চাষবাসে মন দিয়েছে। বেশিরভাগই বাংলার বাইরে চলে গেছে ।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, বললেন, দুই বছর আগে, বিক্রি ছিল প্রায় 10-15 লক্ষ টাকারপ। তা কমে মাত্র ২ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -