Durga Puja 2021: মূর্তি নেই, পটেই পুজো, রীতি মেনে উৎসবের আয়োজন বর্ধমানের রাজপরিবারে
কোনও মূর্তি নেই। তবু এখানে পূজিত হন দেবী। পটেই তাঁর অধিষ্ঠান। তাই দেবী এখানে পটেশ্বরী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App৩০০ বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদ। বর্ধমান শহরের সোনাপট্টির পাশেই রয়েছে রাজকাছারি বাড়ি। তার পাশে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির। সেই মন্দিরেই দীর্ঘ সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে পটেশ্বরীর।
বর্ধমানের রাজপরিবারের কুলদেবী চণ্ডিকা। কথিত আছে, রাজা মহাতাব চাঁদের ইচ্ছে হয়েছিল রাজবাড়িতে দুর্গাপুজো করার। কুলপুরোহিত তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন একটাই শর্তে। মূর্তি পুজো করা যাবে না। পুজো করতে হবে পটে এঁকে। সেই থেকেই পটেশ্বরীর পুজো শুরু।
বর্ধমান রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো পুজো। পটে দুর্গাপুজো হয়। আগে আলোকসজ্জা হোত। ঝাড়বাতি দেওয়া হোত। এখন আর সেই জৌলুস নেই। ছোট রাজকুমার মহাতাব চাঁদ এই পুজো চালিয়ে আসছেন।
আগে রাজবাড়ির আলাদা মন্দিরে পুজো হত। তা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে পটেশ্বরীর পুজো হয়ে আসছে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে।
সময়ের স্রোতে সেই মন্দিরও এখন জীর্ণ। কিন্তু পুজো এলেই তার সর্বজনীন আবেদন ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বর্ধমান শহর তো বটেই, পটেশ্বরী দর্শনে পুণ্যার্থীরা আসেন দূরদূরান্ত থেকে।
প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর পটে নতুন করে ছবি এঁকে দেবীর অঙ্গরাগ হয়।
বাঙালিদের পাশাপাশি গুজরাতিরাও এই পুজোয় অংশ নেন। নবরাত্রি উপলক্ষ্যে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে বসে ডান্ডিয়া নাচের আসর।
রাজপুরোহিত সুমন কিশোর মিশ্র বলেন, বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। অষ্টমীতে লুচি, ছোলা, সুজির মোহন ভোগ হালুয়া হয়। নবমীতে কুমারী পুজো হয়। একান্ন রকমের ভোগ হোত।
কালের স্রোতে অনেক কিছুই ম্লান হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী পটেশ্বরীর। (তথ্য ও ছবি- কমলকৃষ্ণ দে)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -