Snan Yatra 2024 : স্নানযাত্রা থেকেই প্রস্তুতি রথযাত্রার, মায়াপুরের জগন্নাথ মন্দিরেও আজ মহাসমারোহ
রথযাত্রার বাকি আর দিন পনেরো। আজ স্নানযাত্রা। এদিনই গরমের পর ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে শীতল হন জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপুরীর জগন্নাথ ধামে তো বটেই, দেশে যেখানে যেখানে যত জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, সব জায়গাতেই স্নান যাত্রার উৎসব পালন হয় ধূমধাম করে। রীতিগুলিও মোটামুটি একইরকম।
মায়াপুরেও মহাসমারোহে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা। রাজাপুর মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসবকে ঘিরে ভক্তদের ঢল নামল । আগের দিন থেকেই ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করেন।
নদিয়া জেলার মায়াপুরের সবথেকে বড় উৎসব জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব । এই স্নানযাত্রা উৎসবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহকে ডাবের জল, গঙ্গা জল, দুধ ও দই দিয়ে স্নান করানো হয় ভক্তি সহকারে ।
অসংখ্য ভক্ত এই ট্র্যাডিশনে সামিল হতে চান। মায়াপুর রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে এদিন ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নাচ-গান-আনন্দে মাতল মায়াপুর।
কথিত আছে, এই স্নানযাত্রার পরেই জগন্নাথদেব জ্বরে ভোগেন। তারপর ১৫ দিন থাকেন দোর দিয়ে। চলে তাঁর চিকিৎসা।
এই সময়টা জগন্নাথদেবকে কেউ বিরক্ত করেন না। তিনি নেন বিশ্রাম। পুনরায় রথযাত্রার দিন তিনি স্বমহিমায় আবির্ভূত হন। দাদা ও বোনকে নিয়ে পাড়ি দেন মাসির বাড়ি।
মায়াপুরের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে সুসজ্জিত রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবী যান পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে ।
এদিন মায়াপুর ছাড়াও হুগলির মাহেশ, ওড়িশার পুরী , সব জায়গায় পালিত হয় স্নানযাত্রা। এই সময়ে অনেকে পুণ্যস্নানও করেন গঙ্গায়। এদিনই আবার শুরু হয়েছে অম্বুবাচী।
image 10
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -