WB Municipal Election Result 2022: ব্যক্তিগত উষ্মা নেই কারও বিরুদ্ধে, সবুজ ঝড়ের মধ্যে যা যা বললেন মমতা
বিধানসভা নির্বাচনের রেশ বকেয়া পুরভোটেও। বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি, সর্বত্রই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত। তার মধ্যেই এবিপি আনন্দকে ফোনে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর মতে মানুষ নিজের রায় দিয়েছেন। তিনি এবং দল তাই মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশ থেকে বিজেপি-কে হটানোর কথা ফের এক বার জানান তিনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, উত্তরপ্রদেশ, কংগ্রেস ছুঁয়ে গেলেন সব বিষয়ই। একনজরে আজকের মমতার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যগুলি—
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগোয়া নিয়ে- ‘‘সংগঠন গড়ে তুলতে ন্যূনতম তিন বছর সময় লাগে। তৃণমূল মোটে তিন মাস হল নেমেছে। এই অল্প সময়েও পড়ে থেকে কাজ করেছে মহুয়া, অভিষেক, ডেরেক।গোয়ার নির্বাচন বাংলার থেকে আলাদা। ভোট হয়ে যাওয়ার পরেও বিধায়ক কেনাবেচা হয়। তার জন্য আগের বার বেশি আসন পেয়েও সরকার গড়তে পারেনি কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও আমাদের দল ভাল কাজ করেছে। ঘরে ঘরে তৃণমূলের নাম পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা। এ বার তো শুরু করলাম। তিন মাসে যা হওয়া সম্ভব, তার চেয়ে ভালই হবে,’’ বললেন মমতা।
যোগীকে একহাত- সোমবার ফের বাংলাকে নিশানা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশের ভোটে হিংসা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। জবাবে মমতা বলেন, ‘‘কতটা ভীত, সন্ত্রস্ত ভাবুন। নিজেকে যোগী বলেন। যোগী নন, উনি আসলে ভোগী। এনআরসি, সিএএ নিয়ে যারা আন্দোলন করেছে। তাদের জরিমানা করছে। কালই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাওয়ের নামে ওখানে মেয়েদের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনা অবশ্যই খারাপ। তাই সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটাই বড় কথা। কী করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার? কৃষকরা আন্দোলন করছে, তাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিচ্ছে মন্ত্রীর ছেলে। কী বিচার পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ?’’
অখিলেশকে সমর্থন-‘‘এখানে লডা়ইয়ে নেমে প্রচার করতে এসেছিসেন যোগী। আমি ওখানে ভোটের লড়াই লড়তে যাইনি। মানুষকে বাঁচাতে গিয়েছি। কারণ উত্তরপ্রদেশ বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদিকে পরাস্ত করতে হলে, উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলাকে বাঁচানো জরুরি। অখিলেশকে দুর্বল করে চাইনি, তাই এ বার পার্থী দিইনি। লোকসভায় দেব। বলে রেখেছি।’’
২০২৪ নিয়ে-‘‘আমি মনে করি, আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া থাকা দরকার। এমকে স্ট্যালিন, কেসিআর-এর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সবাই মিলে চেষ্টা করছি। যে ভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে, এ সব নিয়ে একমত আমরা। তাই সকলের এক জায়গায় আসা দরকার।’’
কংগ্রেস সম্পর্কে-‘‘ওরা ওদের মতো চলবে, আমরা আমাদের মতো। কোনও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ওদের ভাব নেই। কিছু জায়গায় সরকার রয়েছে বলে অনেকে থাকতে বাধ্য হয়। সিপিএমকেও একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলাম আমি। কংগ্রেসকেও। কেউ যদি না করে, কী করবেন! কারও প্রতি ব্যক্তিগত উষ্মা নেই আমার। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই বা যাব কেন! যারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে, তাদেরই তো দায়িত্ব সকলকে এক জায়গায় করার। যুদ্ধে কাঠবিড়ালিরও সাহায্য লাগে। এই যুদ্ধ দেশকে সন্ত্রাস, বেকারত্ব, থেকে রক্ষার যুদ্ধ। যুদ্ধ সংবিধান এবং ইতিহাস রক্ষার।’’
শিলিগুড়ির মেয়র- ‘‘গৌতমকে নিয়ে বলতে পারি। ও সকলের সিনিয়র। ও-ই মেয়র হবে। এমআইটি, সিআইটি, ডেপুটি চেয়ারম্যান, দল দেখবে সব।’’ উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে এ নিয়ে কথা বলব আমি। তার পর সিদ্ধান্ত।
সব্যসাচী না কৃষ্ণা- ‘‘কৃষ্ণা আমার চিরকালের সঙ্গী। ১৯৮৪ সালে আমি যখন যাদপুর থেকে সাংসদ হই, ও তখন আমার সঙ্গে ছিল। আমরা একসঙ্গে রান্না করতাম। আমার বাড়ি থেকে প্রেম করে বিয়ে করেছে ও।ওরা খুব ভাল। কারও বিরুদ্ধে, কারও কোনও বিদ্বেষ নেই। উষ্মা নেই। আমিও বলব, সকলে যেন একসঙ্গে কাজ করি।’’
অশোক ভট্টাচার্য সম্পর্কে-‘‘অশোকবাবু হেরে গিয়েছেন বলে নয়। কাল কোনও সাহায্য চাইলে করব। ওঁর স্ত্রী যখন অসুস্থ, নিজে থেকে ফোন করেছিলাম আমি।’’
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -