Success Story: UPSC দেননি! ধাপে ধাপে এখন IAS! চমকে দেবে এই লড়াকুর কাহিনি
বয়স তখন পাঁচ পেরোয়নি। মাথার উপর থেকে সরে গিয়েছিলেন বটগাছের ছায়া দেওয়া মানুষটি। অত ছোটতেই পিতৃহারা হয়েছিলেন তিনি। তারপর শুরু ভয়ানক এক জীবনসংগ্রাম।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসংসার চালাতে গৃহ পরিচারিকার কাছ বেছে নিয়েছিলেন তাঁর মা। কিন্তু বাড়িতে শিশুদের রেখে কীভাবে কাজ করবেন? উপায় হিসেবে ঠাঁই হয়েছিল অনাথ আশ্রমে।
ভাই-বোনের সঙ্গে অনাথালয়ে ছোটবেলা কেটেছিল তাঁর। কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে যাননি। ওঠানামাকে সঙ্গী করেই এখন তিনি IAS-পদে কর্মরত। এক জেলার জেলাশাসক- নাম বি আবদুল নাসার।
কেরলের একটি অনাথ আশ্রম ছোটবেলা কেটেছে বি আবদুল নাসারের। সেইখানেই স্কুল স্তরের পড়াশোনা করেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিকবার অনাথ-আশ্রম ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি। ফিরেও আসনে।
যখন তাঁর বছর দশেক, তখন একটি হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সেই জীবন বেশিদিন চলেনি। শুরু করেন পড়াশোনা।
ওই অনাথালয়ে থাকতে থাকতেই স্কুলের গণ্ডি পেরোন তিনি। তারপর শুরু হয় আরও এক জীবন সংগ্রাম।
উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থের অভাব ছিল। কিন্তু তাতে দমে যাননি। গরিবির সঙ্গে লড়াই করেই কেরলেরই একটি কলেজ থেকে স্নাতকস্তর পাশ করেন তিনি।
পড়াশোনার খরচ তোলার জন্য সেই সময়েই কাজ খুঁজে নিয়েছেন তিনি। খবরের কাগজ বিলি করেছেন। কখনও টিউশন পড়িয়েছেন, কখনও আবার ফোন অপারেটরের কাজও করেছেন।
DNA-এর একটি রিপোর্ট অনুয়ায়ী, এভাবেই লড়তে লড়তে চাকরির চেষ্টাও চলছিল। অবশেষে ১৯৯৪ সালে কেরলের স্বাস্থ্য় দফতরে কাজ পান তিনি। সেখান থেকে ক্রমশ ধাপে ধাপে উন্নতি। ২০১৫ সালে নাসার কেরলের শ্রেষ্ঠ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে সম্মান পান তিনি।
২০১৭ সালে বি আবদুল নাসার প্রোমোশন পান IAS স্তরে। কেরল সরকারের হাউজিং কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন। পরে ২০১৯ সালে কোল্লামের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হন তিনি। স্থির লক্ষ্য় এবং একাগ্রতার ফল কী হতে পারে, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বি আবদুল নাসার। সব ছবি: ছবি: বি আবদুল নাসার-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -