Sania Mirza: জেদ আর অধ্যাবসায় ছিল হাতিয়ার, লক্ষ্যে অবিচল থেকেই স্বপ্ন পূরণ সানিয়ার
অবশেষে স্বপ্ন পূরণ। বাবা টিভি মেকানিক। এক চিলতে ঘরেই শুরু হয়েছিল স্বপ্নের বুনন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশেষমেশ দীর্ঘ অধ্যাবসায়ের ফল পেলেন হাতেনাতে। ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা যুদ্ধবিমান চালক সানিয়া মির্জা। NDA পরীক্ষায় ১৪৯ র্যা ঙ্ক করেছেন তিনি।
দেহাত কোতয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। পন্ডিত চিন্তামনি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। মির্জাপুরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে জেলা ভিত্তিক স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
চলতি বছর ১০ এপ্রিল NDA পরীক্ষায় বসেন সানিয়া। তবে প্রথমবারেই সাফল্য এসেছিল এমন নয়। সানিয়া জানালেন সেই কাহিনি।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “মহিলা যুদ্ধবিমান চালকের পদে মাত্র দুটো আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথমবারের চেষ্টায় সেটা পাইনি। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় পেরেছি।’’
সূত্রের খবর, হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর পুণের NDA আকাদেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া মির্জা। মা-বাবা তো বটেই গ্রামবাসীরাও সানিয়ার সাফল্যে গর্বিত।
সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় মহিলা যুদ্ধবিমান চালক তিনি। সানিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, দেশের ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁকে দেখেই NDA পরীক্ষায় বসার ইচ্ছে সানিয়ার।
সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সানিয়া বলেন, ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী অনুপ্রাণিত হই। তাঁকে দেখেই NDA-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করব নতুন প্রজন্ম আমাকে দেখেও অনুপ্রাণিত হবে।
সানিয়ার মা তবাস্সুম মির্জা বলেন, আমার মেয়ে গোটা পরিবার তো বটেই গ্রামবাসীদেরও গর্বিত করেছে। মহিলা যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। গ্রামের বাকিদেরও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকা এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
চলতি বছর NDA পরীক্ষায় পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে ৪০০ আসন ছিল। ১৯ আসন সংরক্ষিত ছিল মহিলাদের জন্য। তাছাড়া মাত্র দুটি আসন ছিল যুদ্ধবিমান চালকের। নিজের জেদ, অধ্যাবসায়কে হাতিয়ার করেই স্বপ্ন পূরণ করলেন সানিয়া।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -