Bappi Lahiri dies : রোদেলা সকালে নামল আঁধার, চলে গেলেন ডিস্কো কিং, বাড়িতে কাজল-তনুজা

সুরের আকাশ থেকে খয়ে পড়ল আরও এক তারা। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরেরদিনই চলে গেলেন বাপি লাহিড়ি।

১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ভারতীয় সঙ্গীচ জগতের একটা বড় জায়গা খালি হয়ে গেল ।

অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালেই তাঁর মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জুহুর ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর। আজ তাঁর বাসভবনে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কাছের মানুষরা।

সকাল সকাল তাঁর বাড়িতে আসেন মা তনুজাকে নিয়ে কাজল। চোখে জল তনুজার।

সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ির সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক। তাই দুজনেই আবেগ বিহ্বল।

‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। আসল নাম অলকেশ লাহিড়ি। কিন্তু পরিচিত হন বাপি লাহিড়ি নামে। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ।

সঙ্গীত জগতের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে পেশাদারি সম্পর্ক পেরিয়ে তাঁর আত্মিক যোগাযোগ।

ডিস্কো কিং-এর আকস্মিক মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছেলে বাপ্পা আমেরিকায় রয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি ফেরার পর, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সঙ্গীত শিল্পীর।