Bishakto Manush: পর্দায় নেক্রোফিলিয়ার গল্প, মুক্তি পেল 'বিষাক্ত মানুষ'
এই ছবি দুটি মানুষের গল্প মিলে যাওয়ার। এই দুটি মানুষ দু'জন পুরুষ, আর তাঁদের মিলিয়ে দেয় এক পরিস্থিতি। একজন ফাঁসির আসামী, অন্যজন একজন ব্যর্থ লেখক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসোনম মুভিজের প্রযোজনায় সদ্য মুক্তি পাওয়া নতুন ছবি ‘বিষাক্ত মানুষ’ (Bishakto Manush)-এর গল্প লিখেছেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু মুখোপাধ্যায়।
গল্পের প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তৌফিক আসিফ ও এক লেখকের মানসিক টানাপোড়েনকে ঘিরে। প্রেমিকা রাজিয়া ও তার পরিবার সহ একাধিক খুন করার অপরাধে তৌফিক এখন জেলে।
অন্যদিকে, অগ্নিভ বসু নামে এক লেখকের পর পর তিনটে বই বাজারে চলেনি। তাঁর অতীতে অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায় নিয়ে প্রতিনিয়ত মানসিক টানাপোড়েন চলে তাঁর মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর আলাপ হয় নেক্রোফিলিক সিরিয়াল কিলার তৌসিফ আসিফের সঙ্গে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সানি রায়।
। ১ সপ্তাহ পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে তার। তৌসিফকে নিয়ে বই লেখার পরিকল্পনা করে অগ্নিভ। অন্যদিকে অগ্নিভর মানসিক পরিস্থিতির সঙ্গে ক্রমাগত খাপ খাইয়ে ওঠার চেষ্টা করে বান্ধবী রুক্মিণী।
তৌসিফ কী বদলে দেবে অগ্নিভ বসুর জীবন? তৌসিফকে নিয়ে বই লেখার পরিকল্পনা কী সফল হবে অগ্নিভর? উত্তর মিলবে 'বিষাক্ত মানুষ'-এর গল্পের ভাঁজে ভাঁজে।
ছবিতে অন্যতম মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুমনা দাস। পর্দায় তাঁর নাম রাজিয়া। গল্পে, অফিসের সহকর্মী রাজিয়াকে মনে ধরে তৌফিকের। কিন্তু তাঁর প্রেম প্রস্তাব নাকচ করে দেয় রাজিয়া।
কারণ, অফিসেরই আরও এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। প্রতিশোধ নিতে রাজিয়া ও তার পরিবারকে খুন করে তৌফিক। সেই শুরু, এরপর একের পর এক খুন ও তারপর নেক্রোফিলিয়ার প্রবণতা তাকে নিয়ে যায় আরও অন্ধকারের দিকে।'
ছবি প্রসঙ্গে সুমনা বলছেন, 'এই ছবিটির গল্প অনেকটাই মনঃস্তত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল আর তাই খুব একটা গতি নেই। তবে নেক্রোফিলিয়া নিয়ে বাংলা ছবিতে এত সাহসী কাজ হয়নি এর আগে।'
সুমনা আরও বলছেন, 'ছবিটায় খুব মন গিয়ে দেখতে হবে, নাহলে গল্পের বাঁধন আত্মস্থ করতে সমস্যা হতে পারে। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে কাজটা। মানুষ দেখে বিচার করুক ছবিটার গুণমান।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -