Singer KK Death: সংযমী নীরবতা পরিবারের, বাবার মৃত্যুতে যা লিখলেন কে কে-কন্যা

গান গেয়ে চলে জীবন। প্রায়শই ঘুরতে হত বাইরে। কিন্তু কলকাতায় এসে আর ফেরা হবে না, তা নিজেও হয়ত ভাবতে পারেননি কৃষ্ণকুমার কুন্নথ।

সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুতে তাই শোকের ছায়া সর্বত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তাঁর। তিনি নেই তা ভাবতেই পারছেন না সতীর্থরা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

এ সবের মধ্যেও কে কে-র মতোই সংযমী নীরবতা বজায় রাখতে দেখা গেল তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কলকাতায় এসে দেহ সংগ্রহ করা থেকে সৎকার, যাবতীয় বিতর্ক, তরজা থেকে দূরত্ব রেখে চলছেন তাঁরা।

বরং নিজের মতো করে আবেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁর মেয়ে ট্যামারাকে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বাবার উদ্দেশে একটিমাত্র বাক্যই লিখেছেন তিনি। তাতে তাতেও সংযমী মনোভাবেরই প্রতিফল দেখা গিয়েছে।

ডিজিটাল কার্ড পোস্ট করে অন্তিম দর্শনে কে কে-র অনুরাগী এবং সতীর্থদের আহ্বান জানান ট্যামারা। তার নীচে একটিই বাক্য লেখেন ট্যামারা, ‘তোমাকে চিরকাল ভালবাসব বাবা।’

কলকাতায় অনুষ্ঠানের পর কে কে-র আকস্মিক মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কেউ। ঘুরে ফিরে কানে বাজছে তাঁর গাওয়া, বন্ধুত্ব, প্রেম এবং বিরহের গান। ট্যামারার পোস্ট করা কার্ডেও ধরা পড়েছে কে কে-র গাওয়া বিখ্যাত গানের এক ছত্র, ‘হম রহে ইয়া না রহে, কল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল।’

সাফল্যের শিকড়ে পৌঁছেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই গোপনীয়তা রেখে এসেছেন কে কে। পার্টিতে যাওয়ার বদলে, কাজ শেষ করে বাড়িতে সময় কাটানো, বেড়াতে যাওয়াই শখ ছিল তাঁর।

ট্যামারাও প্রচারের আলোয় আসেননি সেভাবে। তবে ইনস্টাগ্রামে নিজেকে গায়িকা, সঙ্গীতশিল্পী এবং প্রযোজক বলে উল্লেখ করেছেন ট্যামারা। সঙ্গীতচর্চার কিছু টুকরো ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন তিনি।

বলিউডে বহুমুখী শিল্পী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন কে কে। হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, বাংলা-সহ আরও একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন। কলকাতায় মঞ্চে গান গাওয়ার সময়ই অসুস্থ বোধ করেন। কিন্তু আর কখনও মঞ্চে দেখা যাবে না তাঁকে।

একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্লেব্যাকও সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেকে। সলমন খান, ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘টাইগার-৩‘ ছবিতেই তাঁর রেকর্ড করা শেষ গানটি শোনা যাবে বলে জানা গিয়েছে।