Shashi Kapoor: অনুভব করতেন জন্ম-জন্মান্তরের সংযোগ, বিগত দিনের সুদর্শন নায়ক, স্ত্রী-বিয়োগ চুরমার করে দেয় শশীকে
বিগত জমানার অন্যতম সুদর্শন নায়ক। মারকাটারি সাফল্য কেরিয়ারে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কখনও কেচ্ছা-কেলেঙ্কারিতে জড়াননি। কপূর পরিবারের ছেলে হয়েও মহিলাঘটিত ব্যাপারে কখনও নাম জড়ায়নি শশী কপূরের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবরং ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবরই আড়ালে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন শশী। ছবির প্রয়োজনে এবং কাছের বন্ধুদের সাহচর্য ছাড়া, খুব একটা প্রচারেও দেখা যেত না তাঁকে। জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রমী ছিলেন শশী।
ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডলকে দেখামাত্রই মুগ্ধ হন শশী। শেক্সপীয়রের নাটক অবলম্বনে থিয়েটার-নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিল কেন্ডল পরিবার। উৎপল দত্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল গোটা পরিবারের।
বাবা পৃথ্বীরাজ কপূরের সঙ্গে সেই সময় ঐতিহ্যবাহী পৃথ্বী থিয়েটারে কাজ করছেন শশী। তখনই প্রথম জেনিফারকে দেখেন। প্রথম দেখা থেকে প্রেম, ১৯৫৮ সালে বিবাহ।
শশী এবং জেনিফারের তিন সন্তান, কুণাল কপূর, কর্ণ কপূর এবং সঞ্জনা কপূর। জেনিফারের সঙ্গে মিলেই ১৯৭৮ সালে পৃথ্বী থিয়েটারের পত্তন করেন শশী। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালে মৃত্যু হয় জেনিফারের।
জেনিফারের চলে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে পারেননি শশী। গভীর অবসাদে ডুবে যান তিনি। যত দিন বেঁচে ছিলেন, কখনও অবসাদের সেই নাগপাশ থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেননি বলে শোনা যায়।
একাধিক সাক্ষাৎকারে শশীকে বলতে শোনা যায়, পুনরায় জন্মগ্রহণ করলেও জেনিফারকেই স্ত্রী হিসেবে পাবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর। জেনিফারের মৃত্যুতে দাম্পত্যজীবনে ইতি পড়লেও, শশী মনে করতেন ১০০ বছর জেনিফারের সঙ্গে সংসার করেছেন তিনি।
শুরুতেই কেন জেনিফারকে বিয়ে করেননি, তা নিয়ে আফশোসও করতে শোনা যায় শশীকে। তিনি বলেন, “জেনিফারকে যখন দেখি, আমার বয়স ১৮ বছর। সঙ্গে সঙ্গে ওকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আমার বাবা-মা থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়সে বিয়ের উপযুক্ত নয় বলে মনে হয়েছিল ওঁদের। তাই অপেক্ষা করতে রাজি হয়েছিলাম আমি। দু’বছর পর ওঁরা জানতে চান, এখনও জেনিফারকে বিয়ে করতে চাই কি না। বিনা বাক্যব্যয়ে হ্যাঁ বলি আমি। ওঁরাও আপত্তি করেননি আর।“
জেনিফারের মৃত্যুর পর অভিনয়ে মন বসাতে চেয়েছিলেন শশী। কিন্তু জীবনের কোনও অর্থই খুঁজে পেতেন না। তাই অনেক বছর কার্যত সন্ন্যাস মতো কাটিয়েছেনয স্ত্রী বিয়োগের পর জেনিফারের ব্যক্তিত্ব শশীর মধ্যে প্রতিফলিত হতে দেখা যায় বলে স্বীকার করেন কপূর পরিবারের সদস্যরাও।
জেনিফারের মৃত্যুর পর লন্ডনে দীর্ঘ সময় কাটিয়ান শশী। অভিনেত্রী সিমি গরেওয়াল জানান, লন্ডনে একবার রেস্তরাঁয় নৈশভোজে যান তাঁরা। কিন্তু শশীকে দেখে মনে হচ্ছিল অন্য জগতে রয়েছেন উনি। স্বাভাবিক নেই। আনচান করে যাচ্ছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -