Lara Dutta in Films: সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে যায় বুদ্ধিমত্তা, ভিড়ের মধ্যেও লারা তাই অনন্যা
সাধারণ পরিবারের মেয়ে হলেও, প্রাচীন ধ্যান-ধারণা, রক্ষণশীলতা ভেঙেছেন প্রতি পদে। খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছেও আবার আস্থা রেখেছেন ঘর-সংসারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএ যেন একের মধ্যেই অনেকের সমাহার। শিক্ষা-দীক্ষা, বুদ্ধিমত্তা, আবেদন, কোনও কিছুতেই পিছনের সারিতে ফেলা যাবে না তাঁকে। চিনে নিন লারা দত্ত সম্পর্কে অজানা তথ্য।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ১৯৭৮ সালের ১৬ এপ্রিল জন্ম লারার। যদিও বেড়ে ওঠা কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে। অর্থনীতিতে ডিগ্রি রয়েছে লারার। দূরশিক্ষায় জন সংযোগ নিয়েও পড়াশোনা করেছেন।
লারার বাবা এলকে দত্ত ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্ত উইং কমান্ডার। মা জেনিফার দত্ত অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। ১৯৬৭ সালে লারার মা মিস মাদ্রাজ খেতাব জেতেন। লারার দিদি সাবরিনা এবং বোন শেরিল, দু’জনেই ভারতীয় বায়ুসেনায় নিযুক্ত ছিলেন।
২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতেন লারা। তার পর ‘আন্দাজ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। ওই বছরই ‘মিস ওয়র্ল্ড’ খেতাব জেতেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। লারার সঙ্গে প্রিয়ঙ্কাও ছিলেন ‘আন্দাজ’ ছবিতে। আবার ওই বছরই ‘মিস এশিয়া পেসিফিক’ খেতাব জেতেন দিয়া মির্জা।
‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় লারা যে নম্বর পেয়েছিলেন বিচারকদের কাছ থেকে, আজ পর্যন্ত সেটাই সর্বোচ্চ। সেই সময় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলছিল। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে, লারা জানান, তাঁর মতো মেয়েদের স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দেয় এই প্রতিযোগিতা।
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে ১৬ বছর বয়সে সর্বভারতীয় মডেলিং প্রতিযোগিতা জেতেন লারা। পুরুষ বিভাগে সে বার বিজয়ী হন ডিনো মোরিয়া। পরে ডিনোর সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ান লারা। কিন্তু পেশিবহুল, লম্বা চুলের ডিনোর সঙ্গে লারার বিদেশ সফর নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন তাঁর বাবা।
ডিনোর বন্ধু তথা ভুটানের নাগরিক এবং জনপ্রিয় মডেল কেলি দোর্জির সঙ্গে পরবর্তী কালে সম্পর্কে জড়ান লারা। প্রায় ন’বছর সম্পর্ক ছিল তাঁদের। পর বর্তী কালে আলাদা হয়ে যান। এর পর লারার জীবনে আসেন টেনিস তারকা মহেশ ভূপতি।
শোনা যায়, মহেশের সংস্থার বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে প্রথম বার টেনিস তারকার সঙ্গে আলাপ হয় লারার। মহেশ যদিও শুরু থেকেই লারার অনুরাগী ছিলেন। প্রথম দেখা, আলাপ থেকে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন মহেশ। মডেস শ্বেতা জয়শঙ্কর তাঁর প্রথম স্ত্রী। লারার জন্যই মহেশ শ্বেতার সঙ্গে সাত বছররে বিবাহিত জীবনে ইতি টানেন বলে শোনা যায়। মহেশের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চেন্নাইয়ের ব্যবসায়ী রঘু কালিয়াসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্বেতা।
পরস্পরকে চিনতে, বুঝতে প্রায় তিন বছর সময় নেন লারা এবং মহেশ। ২০১১ সালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দু’দিন পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। ২০১২ সালে লারা এবং মহেশের প্রথম সন্তান সায়রা ভূপতির জন্ম হয়। ‘বিল্লু,’ ‘নে এন্ট্রি,’ ‘পার্টনার,’ ‘ব্লু’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন লারা। দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি ফের অভিনয় শুরু করেছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -