Rishi Kapoor Death Anniversary: বড়পর্দার প্রেমিক মানুষটির সঙ্গে মিল নেই বাস্তবের, ঋষি কপূরের শেষ ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে যায়

চোখের সামনে ছেলেকে সাতপাকে বাঁধা পড়তে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেতা ঋষি কপূরের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। বরং তাঁর ছবিকে সাক্ষী রেখেই আজীবন পাশে থাকার শপথ নিয়েছেন রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট।

তাঁদের বিয়ের পর এখনও একমাসও কাটেনি। তার মধ্যই শনিবার, ৩০ এপ্রিল ঋষি কপূরের প্রয়াণ দিবস। প্রয়াত শ্বশুরমশাইকে নেটমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আলিয়া।

রণবীর নেটমাধ্যমে নিজের পরিচয়ে সক্রিয় নন। তবে ঋষির ছবি ‘শর্মাজি নমকিন’-এর প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই সময় বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তো বটেই, প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে অজানা তথ্যও সামনে এনেছিলেন তিনি। স্বামীর সম্পর্কে নানা কথা প্রকাশ্যে এনেছেন নীতু কপূরও।

দীর্ঘ সময় বলিউডের রোম্যান্টিক হিরো ছিলেন ঋষি। হাঁটুর বয়সি নায়িকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু মাঝের একটি সময় একঘেয়েমি থেকে বাড়িতে বসে যান ঋষি।

রণবীর জানিয়েছেন, চিরকাল ব্যস্তই ছিলেন ঋষি। সংসার, ছেলেমেয়ের প্রতি সে ভাবে নজর দেওয়ার সময় হয়নি। পুরোটাই সামলাতেন নীতু। কিন্তু ঋষি বাড়িতে বসে যাওয়ার পর তাঁর ফাই-ফরমাশে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নীতু। তাই বাড়ি ছেড়ে আরকে স্টুডিয়োতে ঋষিকে সময় কাটাতে বাধ্য করতেন তিনি।

নতুন ধরনের চরিত্র না পেয়ে একটি সময় ঋষি অন্দরসজ্জার দিকেও আগ্রহী হয়ে ওঠেন বলে জানিয়েছেন ঋষি। নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই তিনি ওই শখ জোগাড় করেছিলেন বলে দাবি ছেলের।

বিদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা সেরে ফেরার পরই ‘শর্মাজি নমকিন’-এর কাজে নেমে পড়তে চেয়েছিলেন ঋষি। রণবীর জানিয়েছেন, জীবনের শেষ দিন গুলিতে ঋষি শুধু চার পেগ হুইস্কি, চাইনিজ খাবার আর শ্যুটিংয়ের ফ্লোরে ফিরতে চাইতেন।

রণবীর-আলিয়ার বিয়েতে সকলের নজর কেড়েছিলেন প্রাণবন্ত নীতু। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, নিজের চোখে রণবীরকে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়তে দেখতে চেয়েছিলেন ঋষি। সে-ই ছিল তাঁর শেষ ইচ্ছে। দু’বছর আগেই সেই মতো রণবীর-আলিয়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিছোতে পিছোতে এত দেরি হয়ে যায়। অর্থাৎ শেষ ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে যায় ঋষির।

রণবীর জানিয়েছেন, আমেরিকায় চিকিৎসা চলাকালীন রোজ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তিনি। কিন্তু তাতে রাগ করতেন ঋষি। কাজকর্ম ছেড়ে রণবীর কেন তাঁর পিছনে পড়ে রয়েছেন, তা নিয়ে আপত্তি তুলতেন। ফিরে আসতে বলতেন মুম্বই। অপরাধবোধ থেকেই ঋষি এমন কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন রণবীর।

ঋষির সহ-অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী জানিয়েছেন, পর্দায় যতই মিষ্টি প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করুন না কেন, বাস্তবে ঋষি ছিলেন একেবারেই আলাদা। একটুতেই মাথা গরম হয়ে যেত, রাগারাগাতি করতেন। আবার পর ক্ষণেই গলে জল হয়ে যেত বলে জানিয়েছেন পদ্মিনী।