Sunil Shetty Birthday: যৌনপল্লী থেকে শতাধিক তরুণীকে উদ্ধার, বাস্তবের নায়ক সুনীল কৃতিত্ব নিতে যাননি কখনও
একাহাতে দু’ডন গুন্ডাকে মেরে শুইয়ে দিচ্ছেন। পুলিশের আগে অপরাধস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন। আইন-আদালতের অপেক্ষা নয়, অন দ্য স্পট বিচার করে দিচ্ছেন। দশকের পর দশক সিনেমার পর্দায় নায়কের নানা সংজ্ঞা উঠে এসেছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু পর্দার বাইরে নায়ক হওয়ার ক্ষমতা আছে কয়জনের! আতসকাচ হাতে খুঁজতে বসলে যাঁদের নাম উঠে আসবে, সেই তালিকায় অবশ্যই থাকবে সুনীল শেট্টির নাম। পর্দায় এবং পর্দার বাইরে, সঠিক অর্থেই নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বিত্তশালী ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে সুনীল। টাকা-পয়সার সমস্যা সে ভাবে ছিল না কখনওই। কিন্তু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে পারেননি। সুঠাম চেহারা, মারপিটের দৃশ্যে সাবলীল অভিনয় সাফল্য এনে দিয়েছিল তাঁকে।
সুদীর্ঘ কেরিয়ারে ‘ধড়কন’, ‘ম্যায়ঁ হুঁ না’, ‘দিলওয়ালে’, ‘বর্ডার’, ‘কায়ামত’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে সময় বুঝে দূরত্বও বাড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির থেকে।
এই মুহূর্তে রেস্তরাঁ, রিয়েল এস্টেট, স্যালোঁ ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত সুনীল। ছবি প্রযোজনী করেন। আবার তারকাদের নিয়ে ক্রিকেট লিগেরও অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।
কিন্তু সমাজ-সংসার নিয়ে সুনীলের দায়িত্ববোধ কতটা, তার প্রমাণ মেলে কয়েক দশক আগের একটি ঘটনায়। ১৯৯৬ সালে মহারাষ্ট্রের কামাঠিপুরা যৌনপল্লীতে হানা দিয়ে ৪৫০-র বেশি তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া তরুণীদের সকলেরই বয়স ছিল ১৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। পড়শি দেশ এবং রাজ্য থেকে পাচার করে জোর কের দেহ ব্যবসায় নামানো হচ্ছিল তাঁদের। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ আবার নাবালিকা ছিলেন সেই সময়।
উ্দ্ধার হওয়া তরুণীদের মধ্যে ১৩০ জন ছিলেন নেপালের বাসিন্দা। পাচারচক্রের হাতে পড়ে মহারাষ্ট্রে এসে পড়েন তাঁরা। বৈধ কাগজপত্র কিছুই ছিল না তাঁদের কাছে। কোনও সরকার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ বহনে এগিয়ে আসেনি।
সেই সময় উদ্ধার হওয়া পড়শি দেশের তরুণীদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হন সুনীল। নিজের খরচে বিমানের ব্যবস্থা করেন। এমনকি ভবিষ্যতে যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করেত পারেন তাঁরা, সবকিছু তদারকির দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে।
সুনীলের শাশুড়ি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করলেও, ওই সমস্ত তরুণীদের উদ্ধারের কৃতিত্ব দেওয়া হয় সুনীলের শাশুড়ির সংস্থা এবং মুম্বই পুলিশকে। কিন্তু তিনি যে সব খরচ বহন করেছেন, সে কথা কারও কাছে প্রকাশ করেননি সুনীল। বহু বছর পর জানা যায়, তাঁর অবদানের কথা। ওই সমস্ত তরুণীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই কৃতিত্ব নিতে যাননি বলে পরে জানান সুনীল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -