Celebrity Divorce: ৫০ বছর বয়সে বিয়ে করছেন প্রাক্তন, সিরিয়ালের ডাকসাইটে নায়িকা, কখনও ভালই বাসেননি স্বামীকে!

একই পেশায় থাকার সুবাদে পরস্পরকে বোঝা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু সবক্ষেত্রে যে তা প্রযোজ্য নয়, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ অভিনেত্রী জুহি পারমার এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী সচিন শ্রফ।

অভিনয় করতে গিয়ে আলাপ, পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। তার পর চটজলদি বিয়ে, সন্তান। কিন্তু একছাদের নিচে দীর্ঘ ন’বছর কাটানোর পরও ভাঙন ধরে তাঁকদের সম্পর্কে। ভালবাসাহীন বিয়েকে বয়ে নিয়ে চলার জন্যই এমন পরিণতি বলে কার্যত মেনে নেন দু’জনে।

টেলিভিশন, বিশেষত সিরিয়াল জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ জুহি। একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়ালে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে, যার মধ্যে অন্যতম হল ‘কুমকুম’। রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এও ছিলেন জুহি।

২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি সহ-অভিনেতা সচিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন জুহি। ২০১৩ সালে তাঁদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় মেয়ে সামাইরা। টেলিজগতের অন্যতম আদর্শ দম্পতি হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের ন’বছর পর আচমকাই আলাদা হয়ে যান তাঁরা।

তার পর থেকে একাকী জীবন উপভোগ করাতেই মন দিয়েছেন জুহি। মেয়ে সামাইরাকে বড় করছেন মনের মতো করে। সচিনের সঙ্গেও মেয়ের প্রায়শই দেখা-সাক্ষাৎ হয়। মোটামুটি সৌজন্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন দু’জনই।

এত দিন পর, ৫০-এর কোঠায় পৌঁছে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন সচিন। আগের বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে যদিও কোনও রাখঢাক নেই তাঁর। বিয়ে করলেও, জুহি কখনও তাঁকে ভালবাসেননি বলে একাধিক বার দাবি করতে শোনা গিয়েছে সচিনকে।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুহির সঙ্গে সম্পর্কের ওঠাপড়া নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন সচিন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘পারস্পরিক সম্মতিতেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় আমাদের। যথেষ্ট মীমাংসাপূর্ণ ভাবে, পরস্পরের আত্মসম্মান বজায় রেখেই সম্পন্ন হয় গোটা বিষয়টি।’

সচিনের কথায়, ‘‘জুহি নিজেই বলেছে, ও কখনও আমাকে ভালবাসেনি। একতরফা সম্পর্কের এমনই পরিণতি কাম্য। একবিন্দু ভালবাসা না পাওয়ার চেয়ে, কাউকে ভালবেসে হারিয়ে ফেলা ঢের ভাল বলে কথিত আছে। কিন্তু ভালবাসাহীন বিয়েতে আটকে থাকা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।’’ আমার সব চেষ্টা সত্ত্বেও, জুহি আমাকে ভালবাসতে পারেনি।’’

ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই খোলামেলা জুহি। একটি টক শো-তে তিনিও নিজের মনের কথা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘বিয়ের আগে থেকে চিনতাম সচিনকে। কিন্তু প্রেমপর্ব তেমন ছিল না। ও আমাকে মনের কথা জানানোর পরই সাততাড়ি বিয়ে করে নিই আমরা। ভেবেছিলাম, ও ভালবাসাই আমাকে ধরে রাখবে। ভেবেছিলাম, আমিও হয়ত ভালবাসতে পারব ওকে। কিন্তু জানি না, ওই বিয়েকে আদৌ ভালবাসার বিয়ে বলা উচিত কিনা।’’

জুহি জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তাঁর বিয়েতে সমস্যা রয়েছে, এ কথা নিজেকেই বোঝাতে পারেননি। চালিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন যেনতেন প্রকারে। কিন্তু দু’জনের ভালর কথা ভেবেই শেষ মেশ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।