Anemia: ঠিক ডায়েটেই বাজিমাত, চিন্তা নেই অ্যানিমিয়ায়
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হলে দেহে রক্ত বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা যায়। কমে যায় লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা। পুরুষ-নারী সবাই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে অপুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে নারী ও শিশুদের মধ্যে ব্যাপকহারে দেখা যায় এই সমস্যা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিভিন্ন ধরনের অ্যানিমিয়া রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া। এছাড়াও অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া রয়েছে, যা খুবই বিরল। শরীরে B-12 ভিটামিনের ঘাটতি থেকে হতে পারে পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া।
সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ায়। এই রোগো আক্রান্তরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ঝিমুনি ভাব দেখা যায়। অনেকের খিদে কমে যায়।
এই রোগের চিকিৎসা সহজেই সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। তবে ওষুধের সঙ্গেই ডায়েটে রাখতে হবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারও।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমাতে খেতে হবে শাকজাতীয় খাবার। পাতে রাখতে পারেন পালংশাক, লালশাক, পুঁইশাক।
মটরশুঁটি, তরকা, রাজমা এবং বিনস ভরপুর পুষ্টি দিতে পারে। নিয়মিত এই খাবার খেলে তা অ্যানিমিক রোগীদের জন্য উপকারী। শীতের মরসুমে খাওয়া যায় বিটও। টম্যাটোও খুব উপকারী।
রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের ডায়েটে নানারকম বাদাম রাখা প্রয়োজন। খাওয়া যাবে আখরোট, আমন্ডও। ব্রেকফাস্টে পিনাট বাটারও (peanut butter) উপকার করবে।
অ্যানিমিয়া হোক বা না হোক ডিম খুব উপকারী। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দিতে গেলে, নিয়ম মেনে ডিম খেতেই হবে। প্রসূতি ও শিশুদের জন্যও ডিম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারেন মাংস। মাংসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। রেড মিটজাতীয় মাংস অর্থাৎ পাঁঠার মাংসে আয়রনের পরিমাণ প্রচুর। মুরগির মাংসেও উপকার মিলবে। সঙ্গে অবশ্যই খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -