Poppy Seeds Effects: ঝিমুনি ভাব আসে বটে, কিন্তু পোস্ত খেলে কি সত্যিই নেশা হয়?
আলু-পোস্ত না হলে চলে না বাঙালির। কিন্তু পোস্তর পদ চেটেপুটে খেলে ঝিমুনি ভাব আসতে বাধ্য। বলা হয়, পোস্ত গাছ থেকে আফিম তৈরি হয় বলেই এমনটা ঘটে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসম্প্রতি আমেরিকায় এক মহিলা মাদক পরীক্ষায় উতরোতে ব্যর্থ হন। পোস্ট ছড়ানো স্যালাড খাওয়ার পরই এমনটা ঘটে বলে জানা যায়। কিন্তু পোস্ত খেলে সত্যিই কি নেশা হয়?
পোস্ত আসলে ফলের বীজ। প্যাপাভের সোমনিফেরাম গাছের ফলের বীজ। এই গাছ থেকেই আফিম এবং মরফিন তৈরি হয়। তাই পোস্ত খেলে অনেক সময় শরীরে আফিমের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
কিন্তু এমনি পোস্ত খেলেই নেশা হওয়ার কথা নয়। কারণ পোস্তর দানায় নেশার উপাদান থাকে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে পোস্তর দানার সঙ্গে ফলের অবশিষ্টাংশ, যার মধ্যে অফিম থাকে, তা মিশে যায়।
বহু শতক ধরে পোস্ত রান্নার অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পোস্ত দিয়ে আলু ভাজা, পোস্ত বেটে তরকারি, এমনকি শুধু পোস্ত বাটাও খেয়ে আসছেন মানুষজন।
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই পোস্ত দানার সঙ্গে ফল এবং গাছের অন্য উপাদান মিশে যায়। ঠিক মতো ঝাড়া না হলে, ভাল করে পরিষ্কার না করা হলে, তা শরীরে চলে যায়, যা থেকে ঘোর লাগে।
তবে সাধারণ ভাবে দোকান থেকে কিনে আনা পোস্ত খেয়ে নেশা হওয়া অসম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ওয়েস্ট টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এস বেয়ার্ড জানিয়েছেন, ৫৯ কেজি খেলে তবেই চোখে পড়ার মতো নেশা হতে পারে।
পোস্তর দানা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে, তা থেকে ঝিমুনি ভাব আসতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমনকি পোস্তর দানা ফোটানো চা-কে যন্ত্রণা উপশমের ঘরোয়া টোটকা হিসেবেও ধরা হয়। যদিও তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। ওভারডোজ হলে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পোস্ত কী ভাবে ঝাড়া হচ্ছে, কতটা পরিষ্কার করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে শরীরে কতটা প্রভাব পড়তে পারে। ২০২১ সালে একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, পোস্ত ওভারডোজে কমপক্ষে ১৯টি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার নিদর্শনও রয়েছে।
আবার পোস্তর দানা ফোটানো চা খেলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবেই এমন নয়। তবে এতে আসক্তি তৈরির ঝুঁকি রয়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -