Drinking Too Much Water: মোটে ভাল নয় জলের নেশা, অত্যধিক জলপানের ফল মারাত্মক হতে পারে
সুস্থ শরীর, মসৃণ ত্বকের রহস্য জানতে চাইলে সবার আগে জলের কথা ওঠে। শরীর যাতে জলশূন্য হয়ে না পড়ে, তার জন্যও জলপানের পরামর্শ জদেন চারপাশের লোকজন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজলপান অবশ্যই জরুরি। কিন্তু কোনও কিছুই বেশি ভাল নয়। জলপানের ক্ষেত্রেও একথা কার্যকর। অত্যধিক জলপানে মারাত্মক বিপদ নেমে আসতে পারে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে Water Intoxication সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে অত্যধিক জলপানের অভ্যেস থাকে রোগীর। এর ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব পাতলা হয়ে আসে।
সোডিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট, যা কোষের ভিতরে এবং বাইরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কিডনি থেকে যদি অতিরিক্ত জলের নিষ্কাশন না ঘটে, সেক্ষেত্রে ওই বাড়তি জল কোষে প্রবেশ করে। এর ফলে কোষগুলি ফুলে যায়।
স্নায়ুর কার্যকারিতা, পেশির কার্যকারিতা এবং শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সোডিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোডিয়ামের ঘনত্ব পাতলা হয়ে এলে, কোষগুলির স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্মও ব্যাহত হয়, যার প্রভাব পড়ে একাধিক অঙ্গের উপর।
স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় ০.৮ থেকে ১ লিটার পর্যন্ত জলই শোধন করতে পারে কিডনি। অল্প সময়ের মধ্যে এর চেয়ে বেশি জলপান করলে জলধারণ ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে, পাতলা হয়ে যায় রক্ত।
শরীরে অত্যধিক জল গেলে রক্তপ্রবাহের সঙ্গেও মিশে যায়।, ইলেক্ট্রোলাইটের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়। এর ফলে কোষের মধ্যে জল ঢুকে যায়, যা ফুলে গিয়ে টিস্যুগুলির ক্ষতি করে, প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও।
প্রাথমিক পর্যায়ে মাথার যন্ত্রণা, মাথা ভারী হয়ে আসা, খিঁচুনি হতে পারে। সমস্যা গুরুতর হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
অনেক সময় অতিরিক্ত জলপান করছি বলে বুঝতে পারি না আমরা। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা, হঠাৎ করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া, ক্লান্তি, পেশিতে যন্ত্রণা বা টান ধরলে, ঘন ঘন টয়লেটে ছুটতে হলে, হাত-পা, মুখ ফুলে গেলে সতর্ক হয়ে যান। একবারে অনেকটা জলপানের পরিবর্তে বারে বারে, বেশ কিছুটা সময়ের ব্যবধানে জলপান করুন।
সাধারণত পুরুষদের দিনে ৩.৭ লিটারের বেশি জলপান করা উচিত নয়। অন্য পানীয়ও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ২.৭ লিটার। সব ধরনের তরল এখানে গন্য হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার জলপানের সুপারিশ করেন চিকিৎসকরা, যা ৮-১২ গ্লাসের সমান। তবে যাঁরা বেশি পরিশ্রম করেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে থাকেন, শুষ্ক পরিবেশে বসবাস করেন, তাঁদের বেশি জলপান করা উচিত। তবে নিজে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -