Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Daily Water Requirement: সারাদিনে জল কতটুকু খেতেই হবে? কোন অসুখে জল খাবেন পরিমিত?
চুলের সমস্যা বলুন, বা ত্বকের কিংবা পাচনতন্ত্রের, সবকিছু পারফেক্ট রাখতে সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু ঠিক কতটা জল শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In AppU.S. National Academies of Sciences, Engineering, and Medicine এর স্টাডি বলছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সাড়ে ১৫ কাপ জল খাওয়া প্রয়োজন। মহিলাদের ক্ষেত্রে রোজ জল খেতে হবে সাড়ে ১১ কাপ।
শীত-গ্রীষ্ম অনুসারে শরীরে জলের চাহিদায় কিছুটা তারতম্য হতে পারে। কায়িক পরিশ্রম যাঁরা করেন, তাদের বেশি জল খেতে হবে।
গড়ে ধরা হয়, একজন ৫০ কেজি ওজনের মানুষের রেচন পদার্থ বা প্রস্রাব হয় দেড় থেকে ২ লিটার পর্যন্ত। আর বাকি ১ থেকে দেড় লিটার জল প্রয়োজন শারীরবৃত্তীয় কাজে। আবার ৫০০ মিলি মতো জল শরীর থেকে ঘাম হিসেবে বের হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে। আমাদের সারাবছরই কিন্তু ঘাম হয়ে থাকে। যাকে বলে ইনসেন্সিবল পার্সপিরেশন। যে ঘাম হয়, আমরা অনুভব করতে পারিনা। তাই সবমিলিয়ে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে দিনে আড়াই থেকে ৪ লিটার জল খেতেই হবে। এবার একজনের উচ্চতা ও ওজন অনুসারে এই চাহিদাটা কিছুটা বাড়বে।
যকৃতের বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, যাতে দেখা যায়, শরীর থেকে জল বের করে দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। দেখা যায়, তাতে পেটের মধ্যে জল জমে। যাকে উদরি (ascites) বলা হয়ে থাকে চলিত কথায়। পেট ফুলে যায়। সেই ক্ষেত্রেও জল খেতে হবে মেপেই। ত্বক-চুল বা হজমের স্বার্থে বেশি বেশি করে জল খাওয়া যাবে না।
বিশেষত যাঁরা লিভার, হার্ট বা কিডনির অসুখে ভোগেন, তাঁদের ক্ষেত্রে জল খাওয়ার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়
আমাদের শরীরে গড়ে ৫ লিটার মতো রক্ত রয়েছে। এখন এই রক্তের ৯০ শতাংশই জল। মানুষের হৃদপিণ্ডে অসংখ্য শিরা-ধমনী থাকে। হার্টের কোনও অসুখ হলে সেই শিরা বা ধমনীগুলিতে ব্লকেজ হয়। ফলে হার্টের সংকোচন-প্রসারন ক্ষমতা হ্রাস পায়। তখন বেশি পরিমাণে রক্ত হৃদপিণ্ড পাম্প করতে পারে না। তাই সেক্ষেত্রে জল খাওয়ার পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
কিডনির শরীরের রেচন পদার্থ তৈরি করে। যখন সেই সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তখন কিডনি নির্দিষ্ট পরিমাণে জল প্রস্রাব আকারে বের করে দিতে পারে না। তখন বাইরে থেক জল খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
খেয়াল রাখবেন জল মানে কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় জলটুকু নয়, চা-কফি-সরবত এমনকী ডালের জলটুকুও ফ্লুইড ইনটেকের হিসেবের মধ্যে রাখতে হবে।
এছাড়াও পায়ে গোদ হলে বা শিরা-উপশিরায় কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা হলেও জলের পরিমান নির্দিষ্ট হতে হয়। তার বেশি খাওয়া যায় না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -