Diet Control : ডায়েট কন্ট্রোল শুরু করার আগে মন তৈরি করুন এইভাবে, নইলেই ডিপ্রেশন
'ভাত খেয়ো না। আলুটা বাদ দাও। তোমার সুগার না ?' খাওয়া - দাওয়া করতে গেলেই এমন সাত-সতেরো বাধা আসতেই থাকে। কারও মিশন ওয়েট-লস (weight liss)। কারও আবার চ্যালেঞ্জ সুগার লেভেলটাকে বেঁধে রাখা। আর সবকিছুরই পয়লা শর্ত সেই খাওয়ার সঙ্গেই যুক্ত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএতেই পড়ছেন ভোজনরসিকরা মুশকিলে। একে তো শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মনে থিটমিট, আবার ওজন কমানোর মিশন অ্যাচিভ করার মানসিক লড়াই।
ডায়েট কন্ট্রোল (Diet Control) করতে গিয়ে মানসিক কষ্টে (Mental Stress) ভুগতে শুরু করেন অনেকে। আর এখান থেকেই শুরু হয় আরেক বিপত্তি। কারণ ডিপ্রেশন (Depression) হলে আবার বেশি মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়ার দিকে মানুষের মন যায়।
যে খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে, সেই খাবার কেন খাওয়া উচিত নয়, সেটা রোগীকে বোঝানো প্রয়োজন। কারও যদি মিষ্টির প্রতি খুবই ভালবাসা থাকে, তাহলে তাকে রসের মিষ্টির বদলে সন্দেশ খেতে, যখন খুবই ইচ্ছে করবে।
পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত জানালেন , কোনও ভোজনরসিক মানুষের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে চরম কড়াকড়ি করলে, সে আর ডায়েটচার্ট মানবেই না। তাই চেষ্টা করি, আস্তে আস্তে ক্যালরি কাটডাউন করতে।
তবে রাতের দিকে যত কম ক্যালরি ইনটেক হয়, ততই ভাল। তাই মিষ্টি খেতেই হলে, সকালের দিকে খাওয়া ভাল। তাতে ক্যালরি বার্নআউট হওয়ার সুযোগ থাকে।
সারাদিনে ১৫-২০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক করা আবশ্যক। প্রথমেই ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে বেশিরকম ওয়ার্কআউটের পরামর্শ দিলে সেটা রোগীর কাছে বোঝা মনে হতে পারে।
সপ্তাহে ১ দিন ছাড়ের দিন দেওয়া হয়ে হয়ে থাকে, যাতে করে নিয়ন্ত্রিত ডায়েটে থাকা মানুষটির কাছে একদিন খুশি মনে খাওয়ার অবকাশ থাকে। এতে করে মন ভাল থাকে। হঠাৎ অবসাদ আসবে না।
যিনি কোনও একটি নির্দিষ্ট ওজনে পৌঁছতে চান, তাঁরা সামনে একটি পোশাক রাখবেন টার্গেট হিসেবে। তাহলে যখনই বেশি খেতে ইচ্ছে করবে, তখনই ওই ছোট মাপের পোশাকটির কথা মনে করতে হবে। তাহলে মন এমনিই শান্ত হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -