Depression From Strict Dieting : খাওয়া কমাতে গিয়ে অবসাদের দুর্বিপাকে? কীভাবে খুশি মনে ডায়েটে রাশ টানবেন?
খাওয়া - দাওয়া করতে গেলেই এমন সাত-সতেরো বাধা আসতেই থাকে। কারও মিশন ওয়েট-লস (weight liss)। কারও আবার চ্যালেঞ্জ সুগার লেভেলটাকে বেঁধে রাখা। আর সবকিছুরই পয়লা শর্ত সেই খাওয়ার সঙ্গেই যুক্ত। এতেই পড়ছেন ভোজনরসিকরা মুশকিলে। একে তো শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মনে থিটমিট, আবার ওজন কমানোর মিশন অ্যাচিভ করার মানসিক লড়াই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপুষ্টিবিদরা বলছেন, কোনও ভোজনরসিক মানুষের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে চরম কড়াকড়ি করলে, সে আর ডায়েটচার্ট মানবেই না। তাই চেষ্টা করি, আস্তে আস্তে ক্যালরি কাটডাউন করতে।
প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস থাকে, তার শরীরও তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এবার যখন তারা সেটা পায় না, তাতে শরীরও কোথাও যেন অ্যালার্ম দেয়। ঠিক যেমন নেশা ছাড়ার পর উইথড্রয়াল সিম্পটম দেখি, ঠিক তেমনটাই হয় ডায়েটিং শুরু করার পরপর।
অনেকে ডায়েট ভাঙার ভয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ডাইন-আউট বা নিমন্ত্রণ বাড়িও যান না। তাতেও মনের উপর চাপ বাড়ে ।
হঠাৎ খাবার কমিয়ে দিলে শরীরে দুর্বলতা, খিদে , মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। এতে মন মেজাজ খিটখটে হয়ে যায়।
কঠিন ডায়েট শুরু করলে অন্য কোনও কাজে ফোকাস করা যায় না। উপরন্তু অন্য কোনও জিনিসও তেমন আনন্দ দেয় না। এটা শুধু মনের ব্যাপার নয়। শরীর যা পেয়ে অভ্যস্ত , তা না পেলে শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়াও হয়। তা অবসাদ ডেকে আনে।
পুষ্টিবিদরা মনে করছেন, কারও যদি মিষ্টির প্রতি খুবই ভালবাসা থাকে, তাহলে তাকে পরামর্শ , রসের মিষ্টির বদলে সন্দেশ খান, যখন খুবই ইচ্ছে করবে।
রাতে খাওয়ার পর যার মিষ্টিমুখ না করলে চলে না, সে সন্দেশ একটা খেতে পারে, একটা রুটি কমিয়ে ।
রাতের দিকে যত কম ক্যালরি ইনটেক হয়, ততই ভাল। তাই মিষ্টি খেতেই হলে, সকালের দিকে খাওয়া ভাল। তাতে ক্যালরি বার্নআউট হওয়ার সুযোগ থাকে।
সপ্তাহে ১ দিন ছাড়ের দিন রাখুন, যাতে করে একদিন খুশি মতো খাওয়া যায়, মনকে শান্ত করা যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -