Health Tips: ত্বকের জেল্লা বাড়ানোই নয় শুধু, টিউমারের ঝুঁকিও কমায়, ভুলেও ফেলবেন না লেবুর খোসা
ভিটামিন সি-র কথা উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে লেবু খাওয়ার কথা। কিন্তু কমলালেবু হোক বা পাতিলেবু, নির্যাসটুকু নিয়ে খোসা সাধারণত ফেলে দিই আমরা। কিন্তু এতেই মস্ত বড় ভুল করে ফেলি আমরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকারণ চিকিৎসকদের মতে, কমলালেবু বা পাতিলেবুর নির্যাসে যত পরিমাণ ভিটামিন সি য়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি রয়েছে তার খোসায়। কমলালেবু এবং পাতিলেবুর খোসা পুষ্টিগুণেও ভরপুর বলে মত তাঁদের।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাইট্রাস যুক্ত ফল, সে কমলালেবু হোক বা পাতিলেবু, খোসার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নানা উপাদান, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই খোসা ফেলে দেওয়ার আগে ভাবা উচিত দু’বার।
সাইট্রাস যুক্ত ফলের খোসায় ফাইটোকেমিক্যালস থাকে, যা ব্যাকটিরিয়া এবং ফাঙ্গাস জনিত সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। খোসায় মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
এমনকি লেবুর ভিতরের অংশ যত না রয়েছে, খোসায় তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এর মধ্যে থাকে লিমোনিন, যা ক্যানসার, ডায়বিটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সঠিক পরিমাণে খেতে পারলে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়ে তোলে শরীরে।
কমলালেবুর খোসায় পলি মিথক্সি ফ্ল্যাভনস, হেসপেরিডিনের মতো প্রচুর পরিমাণ ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। ফ্ল্যাভনয়েড হল এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান, যা ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিও রয়েছে।
কমলালেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। খনিজ, ভিটামিন এ, বি এবং সি রয়েছে। যা ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখ এবং অন্ত্রকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের জন্যও ভাল আভার প্রদাহজ্বনিত সমস্যাও দূর করে।
অন্য দিকে, পাতিলেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে। রোজ পাতিলেবুর খোসাকে গুঁড়ো করে একচামচ খেলে, প্রয়োজনীয় ৯ শতাংশ ভিটামিন সি শরীরে পৌঁছয়।
পাতিলেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা দাঁতের স্বাস্থ্য রোখা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আবার কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমায়। এতে টিউমার প্রতিরোধী উপাদানও রয়েছে।
তাই কমলালেবু এবং পাতিলেবুর খোসাকে ফ্রিজে রেখে, পরে রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শক্ত হয়ে এলে গুঁড়ো করে নিন। স্মুদিতে মিশিয়ে বা আইসক্রিমের উপর ছড়িয়ে খেতে পারেন। আবার জলে গুলেও ঢেলে দিতে পারেন গলায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -