খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো, ম্যাজিকের মতো কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি
বর্তমানে সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, ট্রেস, নানারকম চাপে খুব কম বয়সেও হৃদরোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে শুরু থেকেই নজর দিতে হবে ডায়েটে। কী খাবেন তার একটা ধারনা দেওয়া হল। দেখে নিন হার্টের জন্য উপকারী খাবার কী কী
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাদামও হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়। বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অত স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুবই কম। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর বাদামগুলো হল - আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট।
বেরিজাতীয় ফল হার্টের জন্য ভাল। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফলে উচ্চমাত্রার প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। যা হার্টের কোষের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। প্রচুর পরিমাণে বেরি খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য় করে।
রোজ সবুজ শাকসব্জি খাচ্ছেন তো? পালং শাক বা এর মতো একাধিক সবুজ শাক হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্য়ান্ট রয়েছে। এগুলি ভিটামিন কে (Vitamin K)-এর উৎস, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং ধমনীর স্বাস্থ্যের জন্য়ও ভাল।
মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার হার্টের যেকোনও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চর্বিযুক্ত মাছেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে। অ্যারিথমিয়া এবং আরও নানা ধরনের হার্টের সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে এই খাবার খান
হার্ট ভাল রাখতে ডায়েটে প্রচুর বীজ জাতীয় খাবার রাখুন। বীজ ফাইবার এবং ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য খুবই উপকারী। প্রদাহ, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ-সহ অসংখ্য হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
গোটা শস্যদানাও হার্টের জন্য উপকারী। গোটা শস্যদানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। উচ্চ রক্তচাপ এড়ানোর জন্য প্রয়োজন। হোল গ্রেইন ফাইবার এবং মিনারেলে পূর্ণ, যা সার্বিকভাবে শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ফল খান। তালিকায় রাখতে পারেন, পেয়ারা, আপেল, কমলালেবু, কলা ইত্য়াদি। খেতে পারেন ন্যাসপাতিও। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এ ছাড়া ভিটামিন ডি, সি, কে এবং পটাশিয়াম থাকায় প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
বিটের রস নাইট্রেট সমৃদ্ধ, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বিট হার্টের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণা বলছে, নিয়মিত এক গ্লাস বিটের রস রক্তনালিতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -