Papaya Seeds Benefits: ফলের মতোই উপকারী, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, ভুলেও ফেলে দেবেন না পেঁপের বীজ
মুখে না রুচলেও, স্রেফ গুণাগুণের কথা মাথায় রেখেই ফল খাওয়া রপ্ত করে ফেলেছি আমরা। কিন্তু ফল খাওয়ার সময় সবার আগে ছুরি দিয়ে কেটে খোসা এবং বীজ ফেলে দিই আমরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশেষ করে পেঁপে খাওয়ার সময়, তার খোসা এবং বীজ ফেলে দিই বিনা বাক্যব্যয়ে। কিন্তু জানেন কি, পেঁপের বীজ মোটেই ফেলে দেওয়া উচিত নয়! পুষ্টিগুণে আস্ত পেঁপেকে টেক্কা দিতে পারে বীজ। জেনে নিন এর গুণাগুণ।
পেঁপের বীজ ফাইবারে পরিপূর্ণ। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। বিশেষ করে বয়স্কদের ডায়েটে রোজ থাকা ভাল।
লিভারকে বিষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে পেঁপের বীজ। যাবতীয় টক্সিন দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখে, বজায় রাখে স্বাভাবিক কার্যকারিতা।
পেঁপের বীজে পাপাইন এবং কার্পাইনের মতে এনজাইম রয়েছে। ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
পেঁপের বীজ এবং মধু একত্রে খেলে অন্ত্রে বাসা বেঁধে থাকা পরজীবীদের বিরুদ্ধেপ্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। শরীর রোগমুক্ত থাকে।
পেঁপের বীজে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে, প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে, বার্ধক্য দেরিতে থাবা বসায় শরীরে।
পেঁপের বীজ বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার হয়, মৃত কোষ দূর হয় আবার ঔজ্জ্বল্য বাড়ে ত্বকের। পেঁপের বীজ বেটে ফেসওয়াশের মতোও ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁপের বীজ বেটে খেতে পারেন যেমন, তেমন মিশিয়ে নিতে পারেন স্মুদিতেও। আবার জলের সঙ্গে গিলেও খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।
আগে থেকে হজমের সমস্যা থাকলে, অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে, পেঁপের বীজ না খাওয়াই উচিত। তাই পেঁপের বীজ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হলেও, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই এগনো উচিত। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -