Marburg virus : এই ভাইরাসের সংক্রমণেই মৃত্যুর আশঙ্কা ? ভয় ধরাচ্ছে মারবার্গ
মারবার্গ , নতুন আতঙ্ক। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় অফিসিয়ালি জানানো হল মারবার্গ ভাইরাসের (Marburg virus ) অস্তিত্ব।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজুলাইয়ের শুরুতে মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হন দুজন। তাঁদের পরবর্তীতে মৃত্যু হয়। এটাই ঘানায় মারবার্গ ভাইরাস রোগের প্রথম প্রাদুর্ভাব।
10 জুলাই দুই ব্যক্তর শরীরে মারবার্গ ভাইরাস ধরা পড়ে। তবে, ঘানার করা এই রিপোর্ট সঠিক কিনা তা যাচাই করতে বিশ্ব স্বাস্থ্যের সংস্থা (WHO) পশ্চিম আফ্রিকার আরেকটি দেশ সেনেগালের (Senegal) বিশেষ পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে নিশ্চিত হয়।
মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজ (MVD), পূর্বে মারবার্গ হেমোরেজিক ফিভার ( Marburg haemorrhagic fever) নামে পরিচিত ছিল। মারবার্গ গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনে। 88 শতাংশ মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ডব্লিউএইচওর মতে, মারবার্গ ভাইরাসটি ফলের বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। তারপর একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভাইরাস কীভাবে প্রথম বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, তা জানা যায়নি। ২০০৮ সালে, উগান্ডা সফরকারী দুই পর্যটক মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। সংক্রামিত বাদুড়ের মলের ছোঁয়া থেকেই আক্রান্ত হন তাঁরা।
মারবার্গ ভাইরাস রোগে অসুস্থ বা মারা গেছেন এমন ব্যক্তির শরীরের তরল দ্বারা দূষিত বস্তুর মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে, যেমন কাপড়, বিছানা, সূঁচ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম।
মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য আক্রান্ত হতে পারে । তাই দূরত্ববিধি কঠোর ভাবে মানতে হবে। সেই সঙ্গে কঠোর সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে।
যিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত , তাঁর শরীরের তরল বা রক্ত বা রক্তমাখা জিনিসের সংযোগ থেকেই এই রোগ ছড়ায়।
মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত বা মারা যাওয়া ব্যক্তির বীর্যের মাধ্যমে ভাইরাসের সরাসরি সংক্রমণ ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষত থেকে সংক্রমণ হতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -