Hair Care Tips: চুলের বাহারি স্টাইলের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করছেন বিভিন্ন 'হিটিং টুল', সতর্ক থাকতে কী কী করবেন?
চুলের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিং টুল ব্যবহার করে থাকি। যেমন চুল কার্ল বা কোঁকড়ানো করার জন্য কার্লার থাকে। আবার চুল স্ট্রেট করার জন্য থাকে স্ট্রেটনার। এছাড়া চুল শুকনো করার জন্য ড্রায়ার বা ব্লোয়ার তো রয়েইছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএইসব হেয়ার স্টাইলিং টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অসাবধানতায় বড় বিপদ ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে আপনার চুলের। অতএব সতর্কতা হিসেবে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
ভেজা চুল আঁচড়ানো একেবারেই উচিত নয়। এর ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। চুল পড়ার বা ঝরে যাওয়ার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। চুল পুরো না শুকোলে আঁচড়াতে যাবেন না।
বাইরে বেরনোর তাড়া না থাকলে চুল শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করাই চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। ভেজা চুলে অনেকক্ষণ গামছা বা টাওয়েল বেঁধে রাখবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ভেজা চুলে কখনও বালিশে বা বিছানায় মাথা রেখে শুয়ে পড়বেন না। ভেজা চুল খুলে রাখা উচিত। বেঁধে রাখবেন না। দিনে অন্তত দু'বার ভাল ভাবে চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। চুলের ধরন অনুযায়ী চিরুনি ব্যবহার করা প্রয়োজন। অসংখ্যবার চুল আঁচড়াবেন না। এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
ক্লিপ বা কাঁটা জাতীয় জিনিস চুলে যতটা কম ব্যবহার করা যায় ততটাই ভাল। এমনকি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিং টুল থেকেও দূর থাকাই মঙ্গলের।
ভেজা চুল শুকনো সময় ড্রায়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। প্রথমে ড্রায়ারে খুব বেশি হিট বা তাপমাত্রা সেট করবেন না। চুল এবং ড্রায়ারের মধ্যে অতি অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
চুলে স্ট্রেটনার বা কার্লার ব্যবহারের আগে হিট রেজিসট্যান্ট স্প্রে ব্যবহার করে নিতে পারেন। এর ফলে চুলের ক্ষতি কিছুটা হলেও কম হবে।
ভেজা চুলে কখনই কোনও হিটিং টুল ব্যবহার করবেন না। এর ফলে চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে একাধিক গুরুত্বর সমস্যা।
বাড়ির বাইরে বেরোলে চুল বেঁধে রাখাই শ্রেয়। কারণ চুল খোলা থাকলে রাস্তাঘাটে ধুলো, ধোঁয়ায় চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -