Black Diamond Apple: টাকা ফেললেই কেনা যায় না, পাওয়াও যায় না সব দেশে, এতটাই বিরল ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল

পৃথিবীর অনেক কিছুই দেখা বাকি আমাদের। সেই তালিকায় রয়েছে বিরল ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেলও। নামের সঙ্গে মিল রয়েছে চেহারাতেও। গাঢ় কালো রংয়ের এই আপেল প্রকৃত অর্থেই বিরল। ছবি: পিক্সাবে।

রোজ একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বলে প্রচলিত রয়েছে লোকমুখে। সেই তালিকায় লাল, গোলাপি, সবুজ এমনকি সাদা আপেলও রয়েছে। স্বাদে সামান্য হেরফের ঘটে। ছবি: ফ্রিপিক।

কিন্তু কালো রংয়ের আপেলের সঙ্গে পরিচিতি নেই খুব বেশি মানুষের। এটি একটি বিরল প্রজাতির আপেল। তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চল থেকে এই আপেলের সঙ্গে পরিচয় গোটা বিশ্বের। বর্তমানে বিশ্বের একাধিক জায়গায় পাওয়া যায়। ছবি: ফ্রিপিক।

গাঢ় বেগুনি থেকে ঘন কালো রং হয় এই আপেলের। বাইরের অংশ মিশমিশে কালো, তা দিয়েই আলাদা করে চেনা যায় এই আপেলকে। ভিতরের অংশ অন্য আপেলের মতোই, রসাল এবং মিষ্টিও। ছবি: ফ্রিপিক।

তবে শুধু দেখতেই আকর্ষণীয় নয়, এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেলের গুণাগুণও যথেষ্ট। প্রচুর ফাইবার রয়েছে এই আপেলে। রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অবাঞ্ছিত উপাদানকে দূর করে। ছবি: ফ্রিপিক।

এই আপেলের চাষ মোটেই সহজ কাজ নয়। তিব্বতের হিমশীতল তাপমাত্রায় জমে গিয়ে এবং অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এসে এই কালো রং হয় আপেলের। তবে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে চাষ করেও আনা যায় এই রং। আলো এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে চাষ করতে হয়। ছবি: ফ্রিপিক।

বিশ্বের বিরল ফলগুলির মধ্যে এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল পড়ে। গুচ্ছের জোগানও মেলে না। নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকের জন্যই এই আপেল চাষ করেন কৃষকরা। চিনে ধনী পরিবারগুলির জন্য বিশেষ ভাবে এই আপেল চাষ করা হয়। ছবি: ফ্রিপিক।

আবার টাকা ছড়ালেই ব্যাগভর্তি ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল কিনতে পারবেন না। দেশবিশেষে সীমিত সংখ্যায় এই আপেল কিনতে পারেন গ্রাহকরা। ছবি: ফ্রিপিক।

বাইরের কালো ছাল অত্যন্ত পুরু হয় এই আপেলের। এমনিতে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আপেল গাছে আপেল ফলতে শুরু করলেও, ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেলের ক্ষেত্রে সময় লাগে ৮ বছর। ফাইল চিত্র।

উৎপন্ন সব আপেল আবার বাজারে বিক্রিও করতে পাঠানো হয় না। বাছাই করে একেবারে সেরাটি পাঠানো হয়। তাই মোট ফলনের ৩০ শতাংশই বাজারে পৌঁছয়। তাই দামও আকাশছোঁয়া। একটি আপেলের দামই ১০০০ টাকার বেশি হতে পারে। ফাইল চিত্র।