Good Sleeping Posture: শোওয়ার ভঙ্গিতেই লুকিয়ে ভাল থাকার চাবিকাঠি! পাশফিরে না উপুড় হয়ে, ভাল ঘুম যে উপায়ে
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সারাদিন কোনও কাজই ঠিক ভাবে করা হয় না। অবসন্নতা গ্রাস করে ফেলে আমাদের। ঝিমোতে থাকি দিনভর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু স্বাভাবিক যাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম যেমন জরুরি, তেমনই কোন ভঙ্গিতে ঘুমাচ্ছেন তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ি ঢুকে বিছানায় পড়ে গেলেই হবে না, তাতে বরং নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিত হয়ে ঘুমাচ্ছেন, না পাশ ফিরে, শরীরের উপরও তার প্রভাব পড়ে। আবার অনেক সময় আপনার শোওয়ার ভঙ্গিই শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে দিতে পারে।
অধিকাংশ মানুষই পিঠের উপর ভর দিয়ে, চিত হয়ে ঘুমান। মাথার নিচে বালিশ রাখলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা প্রশমিত হয়। ঘাড়ের ব্যথা, পিঠের ব্যথাও চলে যায়।
কিন্তু এই ভঙ্গি মেরুদণ্ডের জন্য মোটই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামার সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে।
পাশ ফিরে শোওয়াকে আদর্শ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। মেরুদণ্ডের চিকিৎকদের মতে, বাঁ দিকে পাশ ফিরে শোওয়াই সবচেয়ে আদর্শ। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়।
চিকিৎসকদের মতে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ডানদিকের ফুসফুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঁ দিকে পাশ ফিরে শওয়ার ক্ষেত্রে সেটির উপরের দিকে থাকে। তাতে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এড়ানো যায়।
২০১২ সালে একটি গবেষণায় বলা হয়, গর্ভাবস্থায বাঁ দিকে পাশ ফিরে শুলে, শরীরে রক্ত সঞ্চালনে বৃদ্ধি ঘটে। পেটের সন্তানের জন্য বাড়ে অক্সিজেনের জোগানও। সাইনাসের সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদেরও বাঁ দিকে পেরা শোওয়া উচিত।
বাঁ দিকে পাশ ফিরে শুলে নসিকা গর্জন এড়ানো যায়। কারণ এ ক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে কোনও বাধার সৃষ্টি হয় না। একই ভাবে মরুদণ্ডও নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকে। এ ছাড়াও ঘাড়, পিঠ, কাঁদের যন্ত্রণা দূর হয়।
অনেকের আবার উপুড় হয়ে শোওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যাতে মোটেও সায় নেই চিকিৎসকদের। তাঁদের মতে, এতে মেরুদণ্ডে টান পড়ে। উপুড় হয়ে শুলে পেটের পেশীর উপর চাপ পড়ে, নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -