Chronic Kidney Disease: ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, উপসর্গ কী, কখন দেখাবেন ডাক্তার, জেনে নিন এক ঝলকে
কোমর্বিডিটি থাকা রোগীদের উপরই অতিমারির প্রকোপ সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত যাঁরা, তাঁদের নিয়েই বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকেরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতাই ক্রনিক কিডনি ডিজিজ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর সময় এসেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মূলত আফ্রিকা, মার্কিন এবং এশীয়-মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা গেলেও, ভারতীয় উপমহাদেশেও বাড়ছে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ।
এই রোগে ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারায় কিডনি। রক্তের অতিরিক্ত তরল এবং শরীরে বর্জ্য প্রস্রাবের মাধ্যমে বার করে দেয় কিডনি। তাই কিডনি অকেজো হয়ে পড়লে শরীরে বর্জ্য জমা হতে থাকে। তা থেকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনির কার্যক্ষমতা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেলে তেমন সমস্যা অনুভূত হয় না। কিন্তু মুখ যদি আচমকা ফোলা লাগে, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিডনির কার্যক্ষমতা ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে গেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে শারীরিক দুর্বলতা, রক্তাল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, বিশেষ করে রাতের দিকে প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজের ক্ষেত্রে কিডনির কার্যক্ষমতা ৮০ শতাংশই কমে যায়। সে ক্ষেত্রে কিডনি ফেলিওরের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। ওষুধ খেয়েও অনেক সময় যন্ত্রণার উপশম হয় না।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজের দিকে এগোচ্ছেন কী ভাবে বুঝবেন? খাবারে অরুচি, বমিভাব, দুর্বলতা, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের চক্রে বদল, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, পেশির যন্ত্রণা, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির সমস্যা, রক্ত ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, পা এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, বুক ব্যথা ইত্যাদি ক্রনিক কিডনি ডিজিজের লক্ষণ।
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়বিটিস থেকে কিডনির সমস্যা হয়। এ ছাড়াও জিনগত কিডনির রোগ থাকলে, দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাস, কিডনির সংক্রমণ থেকে রোগ গুরুতর হতে পারে।
শুরুতেই ক্রনিক কিডনি ডিজিজের লক্ষণ দেখে সন্দেহ হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শরীরে এমন কোনও রোগ থাকলে, যা থেকে পরবর্তী কালে কিডনির সমস্যা হতে পারে, আগে থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে নিন।
ওষুধ এবং চিকিৎসা সত্ত্বেও যদি রক্তের ফ্যাকাসে ভাব দূর না হয়, সে ক্ষেত্রে কিডনি ফেলিওরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -