CT Value In Corona Report : সিটি ভ্যালু তিরিশের নীচে হলেই জিনোম সিকোয়েন্সিং করার সরকারি নির্দেশ, কী এই সিটি ভ্যালু?
কলকাতা পুর এলাকায় করোনা আক্রান্ত হলেই নজরদারি। সিটি ভ্যালু তিরিশের নীচে হলেই জিনোম সিকোয়েন্সিং। ট্রপিক্যাল মেডিসিন নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাবে কল্যাণী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসিটি ভ্যালু তিরিশের নীচে হলেই জিনোম সিকোয়েন্সিং। কিন্তু কী এই সিটি ভ্যালি? করোনা রিপোর্টে এর গুরুত্ব কী ?
rt-pcr করিয়েছেন, তাঁরা দেখে থাকবেন, রিপোর্টে করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ ছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা লেখা থাকে, যা হল সিটি ভ্যালু (CT Value)। কারও কারও ধারণা, এই CT Value থেকেই জানা যায়, রোগ কতটা গুরুতর, ভাইরাস কতটা শরীরকে ঘায়েল করতে পারে । যদিও হিসেবটা এতটা সরল নয়, বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা ।
কী এই CT Value? এর সঙ্গে অসুখের প্রকোপের সম্পর্কটা ঠিক কী? বিস্তারিত জানালেন, বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার।
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া মত নয় যে মাইক্রোস্কোপের নিচে আনলেই দেখা যাবে । করোনাভাইরাস শরীরে থাবা বসিয়েছে কিনা তা জানতে নাক ও গলা থেকে লালা রস সংগ্রহ করা হয় । এই লালা রস থেকে আরএনএ বের করে নেওয়া হয় । এবার এই আরএনএ কে ৩৫ দিয়ে গুণ করার পরও যদি ভাইরাসের অস্তিত্ব যদি না পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে করোনাভাইরাস আপনার শরীরকে আক্রমণ করেনি ।
যদি দেখা যায় আরএনএ কে ৩৫ এর অনেক কম সংখ্যা দিয়ে গুণ করলেই যদি ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে, তাহলে রোগী করোনা পজিটিভ । সিটি ভ্যালু যত কম ততই আপনার শরীরের ভাইরাল লোড বেশি অর্থাৎ আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ততটাই বেশি হয়েছে ।
সিটি ভ্যালু যত কম ততই আপনার শরীরের ভাইরাল লোড বেশি অর্থাৎ আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ততটাই বেশি হয়েছে ।
অনেকে মনে করেন ভাইরাল লোড বেশি মানেই যে কোনও মুহূর্তে তার বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও সমীকরণটা এতটা সরল নয়, বললেন, চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার ।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সিটি ভ্যালু বেশি হলে রোগীর লক্ষণ কম, তা বলে যে তার থেকে সংক্রমণ হবে না, এরকম কোনও মানে নেই । আবার ঘটতে পারে ঠিক এর বিপরীতটাও।
rt-pcr টেস্ট করে যদি দেখা যায়, রোগীর শরীরে ভাইরাল লোড বেশি অর্থাৎ সিটি ভ্যালু কম, তাহলে শরীরে সংক্রমণ বেশি হয়েছে । কিন্তু তার মানে যে তিনি বিপদসীমায় রয়েছেন এমনটা নয় । আবার অনেক কম ভাইরাল লোড থাকা রোগীকেও দেখা গেছে আইসিইউতে অ্যাডমিট করতে হয়েছে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -