Health Tips: প্রচুর উপকারিতা থাকলেও সবার কিন্তু শসা খাওয়া উচিত নয়, হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!

Cucumbers: শসাতে ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। তবে স্বাস্থ্যকর হলেও, এটি কারুর কারুর জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে।

শসার যেমন প্রচুর উপকারিতা রয়েছে, তেমনই রয়েছে ক্ষতিকর দিকও

শসাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তবে বেশি ফাইবার অনেকের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এর কারণে গ্যাস, বদহজম, পেট ফাঁপা বা পেট মোচড়ের মতো সমস্যা বাড়তে পারে।

যাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল, যাদের আগে থেকেই অ্যাসিডিটি বা ব্লোটিং হয় তাদের শসা কম খাওয়া উচিত বা একেবারেই খাওয়া উচিত না, কারণ এটি তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

শসা ঠান্ডা। কারও যদি আগে থেকে কফ, সর্দি-কাশি বা গলায় ব্যথা থাকে, তাহলে তাদের জন্য শসা খাওয়া ঠিক নয়।

ঠান্ডা হওয়ার কারণে শসা খেলে কফ বাড়তে পারে এবং ঠান্ডা দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে, তাই এই অবস্থায় শসা খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া ভাল।

কিছু মানুষের শশা খাওয়ার পর অ্যালার্জি হয়। কারুর ঠোঁট বা গলায় চুলকানি, ফোলাভাব, পেট ব্যথা এবং বমি বমি ভাব হতি। যদি কখনও শশা খাওয়ার পর এই লক্ষণগুলি দেখা যায়, তবে যত দ্রুত সম্ভব এটি খাওয়া বন্ধ করুন।

Continues below advertisement

শশা স্বাভাবিকভাবে ডিউরেটিক অর্থাৎ প্রস্রাব বাড়ানো উপাদানযুক্ত। কারো যদি আগে থেকেই ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে শশা তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন ব্যক্তিরা এটি খুব সীমিত পরিমাণে খাবেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

শশা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে রক্তচাপও সামান্য কমাতে পারে। কারো যদি আগে থেকেই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে শশা বেশি খেলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপসম্পন্ন ব্যক্তিদের সবসময় সীমিত পরিমাণে শসা খাওয়াই শ্রেয়।

কিছু মানুষের শরীর খুব সহজে ঠান্ডা হয়ে যায়। এই ধরনের লোকেদের জন্য ঠান্ডা প্রকৃতির খাবার খুব দ্রুত ক্ষতি করে। যদি আপনার শরীর সহজে ঠান্ডা হয়ে যায়, হাত-পা ঠান্ডা থাকে বা পেট প্রায়ই ঠান্ডা থাকে, তাহলে শশা আপনার জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়।