Diabetic Foot : ডায়াবেটিকদের যে কোনও ক্ষতই মারাত্মক হতে পারে ! বাদ দিতে হতে পারে পা-ও, কী করবেন
ডায়াবেটিকদের (Diabetes )শরীরে যে কোনও ক্ষতই চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডেকে আনতে পারে বড় সমস্যা। স্বাভাবিক কাটা-ছেঁড়াও (wound healing )বাঁকা দিতে যেতে বেশি সময় লাগে না !
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপায়ে পেরেক ফোটার মতো ঘটনা থেকে তৈরি হতে পারে পা বাদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও (lower limb amputation)।
মধুমেহ এমন একটা অবস্থা, যাতে শরীরে রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, কোনও কারণে ইনসুলিন কম সাপ্লাই হওয়ার ফলে
ইনসুলিনের ঘাটতির দুটি কারণ থাকে। টাইপ ওয়ান ডায়বেটিসের (সাধারণত অল্প বয়সে যাঁদের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে) ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের বিটাকোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এই কোষগুলি থেকেই ইনসুলিন ক্ষরণ হয়। এর ফলে খুব অল্প বয়সেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়।
টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আবার সমস্যাটা অন্যরকম। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হয়ত ঠিক থাকে। কিন্তু যে কোষগুলির উপর ইনসুলিন কাজ করে, সেই কোষগুলিতে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অর্থাৎ ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়
এর ফলে রক্তের শ্বেতকণিকা ক্ষতস্থানগুলি মেরামতি করতে বাধা দেয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্টও কাজ করতে পারে না। ফলে ক্ষত সারতে সময় লাগে।
ডায়াবেটিসে শিরা- ধমনীতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ক্ষত স্থানে রক্ত পৌঁছাতে দেরি হয়। ফলে ক্ষত সারানোর প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো হয় না। ডায়াবেটিকদের মধ্যে সবথেকে বেশি দেখা যায় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
সাধারণত পা থেকে সমস্যা শুরু হয়। পায়ের পাতায় লক্ষণ চোখে পড়ে। হাতের আঙুল থেকে শুরু হতে পারে। লক্ষণ গুলি হল -অসাড় ভাব, ঝিম ধরে যাওয়া, শিরশিরানি হওয়া, পরবর্তীতে হাত-পা জ্বালা, রাতে শোওয়ার সময় বেশি জ্বালা ।
আঘাত লাগলে সাড় না পাওয়া, ব্যথা না বোঝা, এই হাইপো অ্যাস্থেশিয়ার লক্ষণ। এর ফলে অনেক সময় হাতে গরম জল পড়লে বা পায়ে পেরেক ফুটলেও টের পাওয়া যায় না। অসাড়ে পায়ের গভীরে ইনফেকশন ছড়াতে থাকে। যাকে ডায়াবেটিক ফুট বলা হয়ে থাকে।
হাড় অবধি ইনফেকশন ছড়িয়ে যায়। ডায়বেটিক ফুটে অনেক সময় ইনফেকশন এতদূর ছড়ায়, যাতে পায়ের একাংশ বাদও দেওয়া হতে পারে। যাকে বলে - diabetic foot amputation।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -