Health News:অতিরিক্ত ঘামেন? উপকার নাকি হতে পারে বিপদও?
শরীর সুস্থ রাখার জন্য নানা কারণে ঘাম ঝরানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কে কতটুকু সেই পরামর্শ মানবেন, সেই আলোচনায় না গিয়েও যেটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, তা হল ঘাম, শরীরে একেবারে নিজস্ব প্রক্রিয়া। দেহ যাতে ঠান্ডা থাকে, সে জন্য প্রকৃতিপ্রদত্ত কুলিং ব্যবস্থা। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ঘাম কতটা পর্যন্ত নিরাপদ? কখনও কি এই ঘামও বিপদ ডেকে আনতে পারে?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅতিরিক্ত ঘাম শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। অল্প কথায় বলতে হলে, এই নিয়ে মিশ্র মতামত রয়েছে। কেউ কেউ যেমন মনে করেন, ঘামের সাহায্যে ত্বকের কূপে জমে থাকা ধুলো, অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়। (ছবি:PTI)
বেশি ঘামের অর্থ আরও মসৃণ রক্ত সঞ্চালন। এর ফলে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়, স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। (ছবি:PTI)
যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মাঝারি মানের ঘাম কখনও সখনও উপকারী হতে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ঘামের সঙ্গে সাধারণত ত্বকের কূপে আটকে থাকা অতিরিক্ত তেল, ডেড স্কিন বেরিয়ে আসে। (ছবি:PTI)
অনেকের আবার বিশ্বাস, ঘামের মধ্যে যে লবণ অংশ রয়েছে তার মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ আটকাতেও সাহায্য করে, ধারণা অনেকের।
কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হিতে বিপরীত করতে পারে, এমনও সতর্ক করেন ডার্মাটোলজিস্টরা। কীরকম? ডার্মাটাইটিস, ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতার সমস্যা বাড়তে পারে।
ঘামের খনিজ লবণ এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমিয়ে দিতে পারে। সেরামাইডস, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড জাতীয় উপাদান কমে যেতে পারে।
সমস্যা এখানেই শেষ নয়। বহু সময়ে দেখা গিয়েছে, যে ত্বকে কোনও ক্ষত থাকলে ঘামের লবণাক্ত উপকরণ সেই ক্ষতে সমস্য়া তৈরি করতে পারে।
ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, ঘাম স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কোনও ভাবেই যাতে তার বাড়াবাড়ি না হয়, সে জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, দিনভর যথেষ্ট পরিমাণ জল পান করতে হবে যাতে দেহে ওয়াটার ব্যালেন্স টাল না খায়।
তা ছাড়া হালকা জামাকাপড় পরা, নিয়মিত স্নান এবং যথেষ্ট পরিমাণ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যাটি মাত্রাতিরিক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই একমাত্র পথ। (ছবি:PTI)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -