Lettuce Benefits: সুস্থ থাকার সহজ উপায়, ত্বক, চুল থেকে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও রক্ষা করে লেটুস
সবুজ শাক-সবজি, স্যালাডের কথা উঠলেই সাবর আগে মাথায় আসে লেটুস পাতার কথা। শুধুই কি স্যালাড, স্যুপ, স্যান্ডউইচ, এমনকি জাঙ্কফুডের সঙ্গেও দিব্যি চলে যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appওজন কমানোর জন্য তো বটেই, ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও সমান উপকারী লেটুস পাতা। এঁরা গুণাগুণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল না হলে, জেনে নিন এখনই।
লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এতে ধমনীর অনমনীয়তা কমে। ফলে ঝুঁকি কমে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের। ডায়েটে লেটুস রাখলে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে।
লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণ ফোলেট থাকে, যা ভিটামিন বি-এর অন্য একটি রূপ। এতে হোমোসিস্টাইন মেথিওনিনে পরিণত হয়। এই পরিবর্তন না ঘটলে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্লেক জমতে শুরু করে।
প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে অবশ্য ডায়েটে রাখুন লেটুস পাতা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লেটুস পাতা কম্পোজিটের মধ্যে পড়ে। প্রদাহজনিত সমস্যা তো দূর হয়ই, লেটুসের বীজ অস্টিওডাইনিয়া অর্থাৎ হাড়ের ব্যথা দূর করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষার্থেও খাওয়া যেতে পারে লেটুস পাতা। মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিউরোনাল কোষগুলির মৃত্যু হয়। এর ফলে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে। নিউরোনাল কোষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে লেটুস পাতা।
ওজন কমাতে রোজকার মেনুতে লেটুস রাখেন অনেকে। এতে জলের উপাদান বেশি, ক্যালরিও কম। অথচ পুষ্টিগুণে কমতি নেই। তাই শরীরকে রাখে চাঙ্গা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলেও লেটুস পাতা খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। ভিটামিন বি, ফেনোলিক অ্যাসিড, টোকোফেরোলস, অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড সার্বিক ভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অনিদ্রার সমস্যা থাকলে ডায়েটে রাখুন লেটুস পাতা। এতে ল্যাকটুক্যারিয়াম থাকে, যা নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে। ঘুমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবারে লেটুস রাখলে একঘুমে সকাল হতে পারে।
গ্রীষ্মকালে শরীরে জল ধরে রাখার ক্ষেত্রে ডায়েটে রাখুন লেটুস। এতে জলের উপাদান যেমন প্রচুর থাকে, তেমনই ক্যালরিও বেশি নয়। গ্রীষ্মকালে তাই লেটুস পাতা খেলে শরীরে জলের জোগান অক্ষুণ্ণ থাকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -