Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Covid-19: করোনা সংক্রমণের পর কতদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে অ্যান্টিবডি?
গত এক বছর ধরে সারা বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সারা বিশ্বজুড়েই এই মহামারীর দাপট চলছে। কোটি কোটি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এরইমধ্যে প্রায় সব দেশই করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appভারতেও গত জানুয়ারি থেকেই চলছে টিকাকরণের কাজ। যে সমস্ত মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের শরীরে বেশ কিছুদিন অ্যান্টিবডি থেকে যায়। যদিও এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। এখন এমনিতে একটা প্রশ্ন মনে স্বাভাবিকভাবেই ওঠে যে, সেরে ওঠার পর শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি কতদিন পর্যন্ত থাকে?এখন পুরোদমে করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণ চলছে। এই অবস্থায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার তিন মাস পর টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কাজেই প্রশ্ন হল, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর কতদিন শরীরে থাকতে পারে অ্যান্টিবডি?
সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকদের নেতৃত্বে একটি সমীক্ষা নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, মৃদু করোনা সংক্রমন থেকে সেরে ওঠার কয়েক মাস পরেও শরীরে প্রতিরোধ-কোষ থেকে যায়, যেগুলি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডিকে সাহায্য করে।
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, এ ধরনের কোষ আজীবন থাকতে পারে এবং এই ইমিউন সেলগুলি অ্যান্টিবডি তৈরি করে।গবেষণায় বলা হয়েছে, মৃদু কোভিড সংক্রমণ শরীরে দীর্ঘমেয়াদি অ্যান্টিবডি সুরক্ষা দিতে পারে এবং সংক্রমণের পুণরাবৃত্তি নাও হতে পারে।
গত বছর বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছিল, অ্যান্টিবডিগুলি দ্রুত বিলীন হয়ে যায়। এর অর্থ হল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী নয়। তীব্র সংক্রমণের সময় অ্যান্টিবডি কমে যায়, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু শূন্য হয়ে যায় না। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সংক্রমণের ১১ মাস পরেও শরীরে অ্যান্টিবডি সেল পাওয়া গিয়েছে। এই সময়টা কিন্তু দীর্ঘ।
কোনও ভাইরাল সংক্রমণের পর অ্যান্টিবডি উৎপাদনকারী বেশিরভাগ ইমিউন কোষগুলি মরে যায় এবং রক্তের অ্যান্টিবডি লেভেলও কমে যায়।
যদিও এই অ্যান্টিবডি উৎপাদনকারী ইমিউন কোষগুলির সামান্য একটা অংশ, যেগুলিতে দীর্ঘস্থায়ী প্লাজমা সেল বলা হয়, অস্থি মজ্জায় ঢুকে যায় এবং সেখানে থিতু হয়।সেখান থেকে কোষগুলি কম মাত্রায় অ্যান্টিবডি অ্যান্টিবডি তৈরি করতে এবং সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে অন্য লড়াইয়ে সাহায্য করে।
একইসঙ্গে বুঝতে হবে যে, একবার কোভিড আক্রান্ত হলে তা ফের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। অর্থাৎ, ফের সংক্রণের ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ভাইরাস একেবারেই নতুন এবং এর গতিবিধির আঁচ পাওয়ায় মুশকিল। তাই কোভিড সংক্রান্ত সুরক্ষা কঠোরভাবে পালনেই গুরুত্ব দিতে হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -