ওজন কমাতে চান? ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই জুস

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলী ঠাণ্ডা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খান। গুড়ের সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকরী অ্যালোভেরা। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারেন। একটানা অনেকদিন খাওয়ায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

চুলের যত্নেও অ্যালোভেরা অত্যন্ত উপকারী। চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।

এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। স্কাল্পের নানা সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা জেল।

ত্বকের যত্নেও অ্যালোভেরা ভীষণ কার্যকরী। ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি, শুষ্কভাব, রোদে পড়া দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিবেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর রস স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।

মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা দারুণ উপকারী। মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথার উপশম হয়।

অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা ও সংক্রমণ সারাতে সহায়তা করে।

অ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

ওজন কমাতে চাইলেও অ্যালোভেরা খেতে পারেন। অ্যালোভেরার জুস এই ক্ষেত্র উপকারী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে।