Health News:প্রেগন্যান্সির সময় অ্যানিমিয়া? ঢিলেমি দিলে হতে পারে বড় ক্ষতি
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা। কম-বেশি চেনা সমস্যা। ন্যাশনাল জাতীয় হেলথ সার্ভে (২০১৯-২১) অনুযায়ী, এ দেশে ১৫-৪৯ বছর বয়সি পুরুষদের ২৫ শতাংশের মধ্যে অ্যানিমিয়া রয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৭ শতাংশ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appলোহিত রক্তকণিকা বা রেড ব্লাড সেলস, যা কিনা বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহণের কাজটি করে থাকে, তার মাত্রা কম থাকাকেই বলে অ্যানিমিয়া। কেন এই সমস্যা হয়, তার নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে। সাধারণভাবে রক্তাল্পতা থাকলে অল্পেতেই ক্লান্তি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে নানা ধরনের অ্যানিমিয়া হতে পারে। কয়েকটির জের স্বল্পমেয়াদি, আবার কয়েকটির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। ঠিক কী কারণে কোনও সন্তানসম্ভবার অ্যানিমিয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে অ্যানিমিয়ার ধরনের সম্পর্ক রয়েছে।
সাধারণ ভাবে গর্ভাবস্থায় 'ব্লাড ভলিউম' অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর অর্থ এই সময় আরও বেশি মাত্রায় RBC তৈরির জন্য আয়রন এবং ভিটামিনের দরকার পড়ে। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা যদি যথেষ্ট আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার না খান, সেক্ষেত্রে অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে।
মায়ের রক্তের RBC থেকেই বাড়বৃদ্ধি হয়ে থাকে গর্ভস্থ ভ্রূণের। যদি গর্ভধারণের আগে থেকেই মায়ের 'বোন ম্যারো'-তে অতিরিক্ত RBC থেকে থাকে, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তা না হলে, মায়ের আয়রন-ঘাটতি জনিত অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে।
ডাক্তারদের মতে, গর্ভাবস্থায় এই ধরনের অ্যানিমিয়াই সব থেকে বেশি দেখা যায়। তাই গর্ভধারণের আগে ও গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
হিমোগ্লোবিন এবং RBC তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা রয়েছে ভিটামিন B-12-র। দুধ, ডিম, মাংস থেকে ভিটামিন B-12 পাওয়া যায়। বহু সময়, গর্ভাবস্থার সঙ্কট কাটাতে ভিটামিন B-12-র ইঞ্জেকশনও নিতে হতে হয় অনেককে।
কোষের বৃদ্ধির জন্য আয়রনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে ফোলেট বা ফলিক অ্যাসিড। গর্ভাবস্থায় যদি কেউ পর্যাপ্ত ফোলেট না খান, তা হলে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই এদিকেও নজর দিতে বলেন ডাক্তাররা।
ডাক্তারদের মতে, সন্তানসম্ভবাদের ক্ষেত্রে অ্যানিমিয়া ঠিক কতটা বিপজ্জনক হতে পারে এই নিয়ে লাগাতার প্রচার জরুরি। পাশাপাশি, প্রেগন্যান্সির সময় লাগাতার স্ক্রিনিং করা দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনে বদল আনাও জরুরি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -