Lifestyle:দিনের পর দিন স্ট্রেসে ভুগছেন? 'ব্রেন'-এর ক্ষতি হচ্ছে না তো?
বিবেচনা বোধ থেকে কাজের পরিকল্পনা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রত্যেক দিনের কাজকর্ম--শরীরে যে অঙ্গ এই সবকিছুর মূল আধার, তার নাম মস্তিষ্ক। কিন্তু এই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আগাম কতটুকু সচেতনতা রয়েছে আমাদের?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবনশৈলিতে কিছু বদল মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কাজে দিতে পারে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারে আমাদের অনেকে যথেষ্ট সতর্ক থাকি না।
যেমন ধরুন, ঘুমের অভাব। রাতের পর রাত পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব নানা ভাবে মস্তিষ্কের হাল খারাপ করতে পারে।
স্মৃতিশক্তি ধাক্কা খাওয়ার পাশাপাশি আবেগে নিয়ন্ত্রণ, সার্বিক ভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধাক্কা খায় ঘুমের অভাব হলে। অথচ, কাজ বা অন্যান্য চাপে বহু সময়ই এটি খেয়াল করি না আমরা।
খাবারদাবারের সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য়ের নির্দিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। যেমন ধরুন, স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার যদি ডায়েটে বেশি থাকে তা হলে সার্বিক ভাবে ব্রেনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
প্রসেসড ফুড, শর্করা বেশি রয়েছে এমন খাবারের ক্ষেত্রেও এই ধরনের আশঙ্কার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবর্তে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও পর্যাপ্ত খাবার জরুরি।
ধূমপানে স্ট্রেস কমে? দীর্ঘদিন ধরে এই ধারণা প্রচলন রয়েছে। বাস্তব ছবিটা সেরকম নয়, অন্তত তেমনই বলছে গবেষণা। ধূমপানে সাময়িক একটা উত্তেজনা তৈরি হলেও আখেরে এর ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়তে পারে।
সতর্ক থাকা দরকার মদ্যপানের ক্ষেত্রেও। বস্তুত, যে কোনও ধরনের 'ড্রাগ' যদি নেশার পর্যায়ে পৌঁছে গেলে, মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তাতে নানা ধরনের 'কগনিটিভ ফাংশন' ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
স্ট্রেস কম-বেশি সকলেরই জীবনের অঙ্গ। যদি কখনও তা একটানা ভোগাতে শুরু করে, তা হলে তা থেকেও ব্রেনের স্বাস্থ্য ধাক্কা খেতে পারে। এক্ষেত্রে সাময়িক বিরতি, স্ট্রেস কমানোর নানা উপায় অনুসরণ করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার দিকে নজর রাখা দরকার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -