Kidney Problems:'সাইলেন্ট কিলার' হয়ে উঠতে পারে কিডনির অসুখ, অবহেলা করা উচিত নয় এই লক্ষণগুলি
শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঙ্গ কিডনি। অবিরাম কিডনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় রক্ত। রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বের করে দেওয়াই কিডনির কাজ। সেই অর্থে শরীরে ছাঁকনির কাজ করে কিডনি। এই কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। অনেকেই কিডনির অসুখে ভোগেন। কিন্তু সমস্যা হল, অনেক সময়ই কিডনির অসুখ সম্পর্কে বোঝা যায় না। যখন বোঝা যায়, তখন রোগ গুরুতর আকার ধারণ করেছে। দেশে মৃত্যুর হারের আটটি প্রধান কারণের মধ্যে একটি হল ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি)।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিডনির কোনও সমস্যা হলে তার উপসর্গ বোঝা য়ায় না। অনেকে আবার উপসর্গগুলিকে গুরুত্ব দেন না। এ জন্য কিডনির সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক থাকা দরকার। পরিবারের কারুর ব্লাড প্রেসার, ডায়বেটিস, স্থুলত্ব, মেটাবলিক সিন্ড্রোম, করোনারি আর্টারি ডিজিজ ও কিডনি ফেল হওয়ার ইতিহাস থাকলে ৬০-এর বেশি বয়স হলেই নিয়মিত চেপআপ করানোর দরকার।
জেনে নেওয়া যাক, কিডনিতে সমস্যা থাকলে কী ধরনের ইঙ্গিত দেখা যায়।
কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে প্রাথমিকভাবে পা ও গোড়ালিতে কাছে ফোলাভাব দেখা যেতে পারে।
কিডনির অসুখ হলে এডিমা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে চোখের আশেপাশে ফোলাভাব দেখা যায়, কোষে তরল পদার্থ জমে যাওয়ায় এমনটা হয়।
কিডনির সমস্যা হলে দুর্বলতা স্বাভাবিক লক্ষ্মণ। শুরুতে খুবই ক্লান্তি অনুভূত হয়। বেশি কাজকর্ম করলে পরিশ্রান্ত লাগে।
কিডনি খারাপ হলে খিদে কমে যায়। ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, অ্যাসিডের মতো বর্জ্য পদার্থ শরীরে জমা হতে থাকে। ফলে খিদে কমে যায়। স্বাদও বদলে যায়। কিডনি খারাপ হলে সকালে বমি বমি ভাব হতে পারে। সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় এমনটা হতে পারে। এতে খিদেও কমে যায়।
কিডনি ভালো রাখতে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। গরম জল খাওয়ার চেষ্টাও করতে পারেন। এতে শরীরে সোডিয়াম, ইউরিয়া ও বর্জ্য পদার্থ কিডনি শরীরে বাইরে বের করে দেয়। কিডনি ভালো রাখতে নুন খুব কম খাওয়া দরকার। এজন্য কম লবনাক্ত খাওয়ার খাওয়া উচিত। এজন্য প্যাকেটজাত ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
কিডনি ভালো রাখতে সময় সময় কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। ভাজাভুজি ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। প্রচুর ফল ও সব্জি খান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -