Health Tips: অবসাদ দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে এগুলো

অনেকেই নানা কারণে মানসিক সমস্যা, অবসাদের শিকার হন। দৈনন্দিন জীবন, কাজের চাপ, স্ট্রেস-সবকিছু মিলিয়েই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইলও।

অবসাদের শিকার হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কোনও ব্যক্তি অবসাদের শিকার হলে তাঁর পাশে দাঁড়াতে হবে। অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিজেকেও চেষ্টা করতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। তবে তার আগে তৈরি করতে হবে নিজেকে।

প্রতিদিনের একই রুটিনের কারণে একঘেয়েমি আসতে পারে। মোটিভেশন না থাকা, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া অবসাদের প্রাথমিক উপসর্গ। প্রয়োজনে প্রতিদিনের রুটিন বদলান। কিছু কিছু বদল এনে দেখুন, সাহায্য মিলতে পারে।

ভাল কথা, সুখস্মৃতি মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। অনেকের ডায়েরি লেখার অভ্যায় থাকে। এবার একটা নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। পোষাকি নাম gratitude journaling. যাঁর জন্য় আপনার মন ভাল হয়েছে, সুখস্মৃতি রয়েছে। তা লিখে রাখুন।

ঘুম অত্যন্ত মূল্যবান। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে ঘুম। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালাতে গেলেও পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকাও উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কোনওভাবেই যেন অপুষ্টির শিকার না হতে হয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার জায়েটে রাখতে হবে। মূলত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি পোষক পদার্থ রয়েছে এমন খাবার রাখতে হবে।

জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াট্রি অনুযায়ী শরীরচর্চার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অবসাদ-উদ্বেগ কমায়। সামাজিক ভাবে মেলামেশার আগ্রহও তৈরি করে।

কাজে বা ব্যক্তিগত জীবনে কমবেশি সমস্যা সবারই থাকে। কোনওসময় কোনও সমস্যায় পড়লে, সেটাকে কাটিয়ে ওটার চেষ্টা করতেই হবে। তার সঙ্গেই সবসময় পজিটিভ চিন্তা করা উচিত। হাল ছেড়ে দিলে, কোনও ব্যর্থতা নিয়ে সবসময় ভাবলে অবসাদ গ্রাস করতে পারে।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।